Get the Latest News & Videos from News24 > খোলা বাতায়ন > কাউন্সিলর খোরশেদ আমাকে বিয়ে করেছে: সায়েদা শিউলি

অনলাইন ডেস্ক:- নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদে আমাকে বিয়ে করেছে এটা এক হাজার ভাগ সত্য, দু’একদিনের মধ্যে দেশে ফিরে সব প্রমাণ দেবেন বলে জানালেন সায়েদা শিউলি।

রোববার ফেসবুক লাইভে এলেন আলোচিত সেই নারী সায়েদা শিউলি। তিনিও আবেগঘন কণ্ঠে জানালেন মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ তাকে বিয়ে করেছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র তার কাছে আছে। বর্তমানে তিনি ব্যাবসায়িক কাজে দেশের বাইরে আছেন। দেশে এসেই তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসব কাগজপত্র নিয়ে হাজির হবেন।

উল্টো তিনি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন। তার তিন সন্তান যাতে এ নিয়ে সামাজিকভাবে নাজেহাল না হয়, এ ব্যাপারে সবার সদয় দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এর আগে ফেসবুক লাইভে খোরশেদ দাবি করেন, ওই নারী তাকে বিয়ে করার জন্য গাড়িতে করে কাজী নিয়ে তার বাসায় এসেছিলেন। তবে এসব কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে তাকে বোঝানো হয়। এর পরও তিনি উচ্চপদস্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি এও হুমকি দিয়েছেন যে, পাসপোর্টে খোরশেদের নাম স্বামী হিসেবে ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট মানুষকে দেখিয়ে বিভিন্ন রকম দাবি করতে থাকেন তিনি।

ওই নারীর পরিচয় দিতে গিয়ে খোরশেদ বলেন, তার নাম সাইদা আক্তার। এরই মধ্যে তার তিনটি বিয়ে হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ লোকের সঙ্গে তার পরিচয় আছে।

তিনি নিজেকে বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে মানুষকে জিম্মি করেন। মানুষের সঙ্গে ভালো ভালো কথা বলে বিভিন্ন স্ক্রিনশটকে কেন্দ্র করে তাদের ব্যবহার করার চেষ্টা করেন।

শনিবার রাতে সস্ত্রীক নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে এমনটিই দাবি করেছেন খোরশেদ ও তার স্ত্রী। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে খোরশেদ কয়েক দফা ডুকরে কেঁদে ওঠেন এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রের কাছে পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেছেন।

ফেসবুক লাইভে খোরশেদের পাশেই ছিলেন তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। লাইভের শেষের দিকে তিনিও কথা বলেন এবং তার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেন রাষ্ট্রের কাছে।

লাইভে কাউন্সিলর খোরশেদ জানান, আমি করোনার শুরু থেকেই আক্রান্তদের সেবা প্রদান করি ও সম্মুখে থেকে লড়াই করি, দাফন-সৎকার করি। একপর্যায়ে গত মে মাসে আমি ও আমার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হই। এ সময় অক্সিজেনের অভাবে আমার স্ত্রীকে একপর্যায়ে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়।

তখনই মনে হয় অক্সিজেনের জন্য করোনায় আক্রান্ত যারা সমস্যায় পড়বেন তাদের অক্সিজেন সাপোর্ট দেব বিনামূল্যে।  এ সময় একটি সংবাদের নিচে এ নারী কমেন্ট করে তিনি অক্সিজেন দিতে চায় এবং আমার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়। তখন থেকেই তিনি আমার সঙ্গে ফেসবুকে কানেকটেড হয় এবং কথা বলা শুরু করে।

একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারি তার মতলব ভিন্ন এবং আমি তাকে তখন দূরে সরাতে চেষ্টা করি এবং বোঝাই। তার ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেকেও আমি ঘটনা জানাই, তখন সে আমাকে বলে তার মা হয়তো দুষ্টুমি করছে এ রকম কিছু সম্ভব নয়। তাতেও কাজ হবে না বুঝে আমি নভেম্বর-ডিসেম্বরে তার ভগ্নিপতিকে জানাই। এতে ওই নারী আরও ক্ষুব্ধ হয় এবং আমার পেছনে ওঠেপড়ে লাগে।

নিউজ২৪.ওয়েব / ডেস্ক / রূপা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *