Get the Latest News & Videos from News24 > জনদূর্ভোগ > ভোগান্তি নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী, ফেরা নিয়ে শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক : গেল রোজার ঈদে ঢাকায় থাকলেও এবার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার ঘোষণা আসার পর থেকেই অপেক্ষা কখন গ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন। আর এজন্যই বাগেরহাট যেতে আগাম টিকিট হাতে পেতে ঢাকা ছাড়ার দুইদিন আগেই থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফাহিমা আক্তার সুমি। তবে যাওয়ার টিকিট হাতে পেলেও ছুটি শেষে ঢাকা ফেরা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। জরুরি সেবায় চাকরি করায় আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যেই ঢাকায় ঢুকে অফিস করতে হবে তাকে।

এমন উদ্বেগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘রোজার ঈদে বাবা-মায়ের কাছে যেতে পারিনি, এবার যেহেতু সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করে দিয়েছে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম গ্রামে যাবো। অনেক কষ্ট করে যাওয়ার টিকেট ম্যানেজ করেছি। এখন চিন্তায় আছি ঢাকায় ফেরা নিয়ে। নির্ধারিত সময়ে না ফিরতে পারলে সহজে গাড়ি পাবো না। এছাড়া নির্ধারিত সময়েও অনেক ভিড় হবে, যেহেতু সবাই একসঙ্গে রওয়ান দিবে। তাই যেতে পারলেও সময়মতো ফিরতে পারবো কী না শঙ্কার মধ্যে আছি।’শে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে সরকার বীমা, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা চালু রেখেই গত ১ জুলাই থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে। দেওয়া হয় ২১টি নির্দেশনা। পরবর্তীতে সেই বিধিনিষেধ গত ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সেই মেয়াদ শেষে ঈদকে সামনে রেখে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শীতল করা হয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ জারির ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

চাকরি প্রার্থী মো. জুলহাস রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় সহপাঠীদের সঙ্গে একটি মেসে থাকেন। অল্প খরচে কীভাবে বাড়িতে পৌঁছানো যায় এ পথ খুঁজছেন দুইদিন ধরে। বাস, ট্রেন সব পরিবহনেই এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে চলাচল করায় স্বাভাবিকর চেয়ে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে জুলহাসেরও।

জুলহাস বলেন, ‘জেলা কাছে হওয়ায় ভাড়া এবং সুবিধার জন্য সবসময় ট্রেনে করেই বাড়ি যাই। এবারও সিদ্ধান্ত নিলাম একইভাবে যাবো তবে অগ্রিম টিকেট নেওয়ার চেষ্টা করছি। না পেলে মনে হয় না যে ট্রেনে যেতে পারবো। না হলে হয়তো দিগুণের চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে কষ্ট করে বাসে যেতে হবে। কষ্ট করে না হয় গেলাম। যাওয়ার পর ঢাকা আবার আসব কীভাবে এইটা তো ভেবে পাচ্ছি না। এবার লকডাউনের পর ছাড়া ফেরার আর কোন পথ নেই। ভাবছি বাড়িতেই এই কয়দিন থাকবো।’

এদিকে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন-সারা বছর বন্ধ ছিল তাদের আয়, এ সময় একটু আয় করতে না পারলে চলবেন কী করে? এছাড়াও ঈদের পরে আবার সব কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। তখন তাদের বেকার থাকতে হবে।

বাড়তি ভাড়া নিয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, ‘গাড়ির সংখ্যা বেশি হলে কী হবে আসন তো অর্ধেক কমে গেছে। এ সময়টা আমাদের কিছু বাড়তি আয় হয়। এখন তো সারা বছরই করোনা। লকডাউনের জন্য কয়েক দিন পর পর আমাদের বেকার বসে থাকতে হয়। আয় না করতে পারলে খাবো কী। আমরা কোন বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি না। যা ভাড়া তাই নিচ্ছি।’

নিউজ ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/ব্রিজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *