The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:- হেফাজতের তান্ডবে বিক্রমপুর ও বি’বাড়িয়ায় আঃলীগ নেতার বাড়ীতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ২৮ মার্চ রবিবার হেফাজতে ইসলামের ডাকা সহিংস হরতাল সারাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ীঘরে মধ্যযুগীয় কায়দায় ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। তাদের এই বিভৎস নারকীয় ধ্বংসজজ্ঞের আক্রমণ থেকে রেহাই যায় নাই মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুরের নিমতলা, রাজানগর, মধুপুরসহ কয়েকটি গ্রাম। ঘটনার দিন হরতালের সমর্থনে নিমতলা মহাসড়কে হেফাজতের কয়েকশত কর্মীর সাথে দফায় দফায় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনার এক পর্যায়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তার সহযোগী কর্মকর্তা হরতালকারীদের হামলার শিকার হয়ে রক্তাক্ত হন। এর পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে হরতালকারীরা পিছু হটতে থাকে।
হামলাকারীরা রাজানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের বাড়ীতে আক্রমণ চালিয়ে তার বৃদ্ধা মা ও বড়ভাইকে আহত করে। ইউঃআঃলীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির হোসেনের বাড়ী, উপজেলা যুবলীগের সদস্য বিপ্লব আসাদের বাড়ী, ইউঃযুবলীগ সভাপতি হোসেন আলীর বাড়ী, সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেলের বাড়ী, ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলম আসাদের বাড়ী, আমিনুল ইসলামের বাড়ী, এনামুল ইসলাম রিফাতের বাড়ীসহ ৮ বাড়ীতে ব্যপক ভাঙচুর, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে। আলমগীর হোসেনের বৃদ্ধা মা, বড় ভাই ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এখনো ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকার সাধারণ নিরিহ মানুষ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গ্রামগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হেফাজতের তান্ডবে শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী কালীমন্দির, জেলার ভুমি অফিস, পৌরসভা, রেল ষ্টেশন অফিস, প্রেসক্লাব, বাঙ্গালির গর্ব ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ স্মৃতি পাঠাগার, পাবলিক লাইব্রেরী, জেলা পরিষদ ভবন, সার্কিট হাউস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা জজের বাসভবন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়ী, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ী অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলাকালীন উগ্র ধর্মান্ধ হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে এই ধরণের বর্বর ও নৃশংস হামলার ঘটনা শুধুমাত্র ব্যক্তিবিশেষ বা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলাই নয়। এই হামলা স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসীদের উপর সুদুরপ্রসারী এক পরিকল্পিত হামলা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকালে তার প্রতিকৃতি ভাঙ্গার ঘটনাকে হালকাভাবে দেখার কোন অবকাশ নেই। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত ও নেতৃত্ব দানকারীরা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অপরাধীর সামিল।স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র যতদিন থাকবে মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সাথে বিশেষ বন্ধুত্বের সম্পর্কও ততদিন থাকবেই।
কে কখন প্রধানমন্ত্রী হলো কে এলো বা কে গেলো এগুলো কোন ইস্যু নয়। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ধর্মান্ধ উগ্রবাদী হেফাজত জামায়াত চক্রের একটাই ইস্যু তা হচ্ছে অগ্রসরমান বাংলাদেশকে ধর্মের নামে অপব্যখ্যা দিয়ে সংঘবদ্ধ আক্রমণের মাধ্যমে অচল করে স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক শক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে পুনরায় পাকিস্তানি ভাব ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ তার পঞ্চাশ বছর সময়কাল অতিক্রমকে আমরা যদি মোটা দাগে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই ১৫ আগষ্টের মত নির্মম হত্যাজজ্ঞ, ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী দেশের ১৯ জেলাব্যাপী সংখ্যালঘুদের উপর রোমহর্ষক নির্যাতন, ২১ আগষ্টের মত ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব শুন্য করার চক্রান্ত ও এযাবৎকালের সর্বশেষ সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু পাড়ায় সংঘবদ্ধ আক্রমণ সবই এক ও অভিন্ন সূতায় গাথা। এর জন্য আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে এই বাংলাদেশ সৃষ্টি করে যায় নাই।
এই বাংলাদেশ কিভাবে কোন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে পরিচালিত হবে তা ১৯৭২ সালে নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজেই রাষ্ট্রকে কঠিন ও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্রীয় ভিত্তিকে রক্ষাকল্পে এই পরাজিত অপশক্তিকে স্থায়ীভাবে দমনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল ও মতকে ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনে যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাই। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চিরজীবী থাকবে। “জয় বাংলা”
লেখকঃ সাবেক ছাত্রনেতা, রাজনীতি বিশ্লেষক ও প্রধান সমন্বয়কারী বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/ ব্রিজ