Get the Latest News & Videos from News24 > আইন-আদালত > সাবেক এসপি বাবুল রিমান্ডে

অনলাইন ডেস্ক :চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ মে) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে একই দিন দুপুরে বাবুল আকতারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় নতুন একটি মামলা দায়ের করেছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। মিতু হত্যা মামলায় এত দিন ধরে তার স্বামী ও সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার বাদী ছিলেন। কিন্তু পুলিশের তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আকতারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর এখন প্রধান আসামি হয়েছেন তিনি।

মামলায় অভিযোগ করে মিতুর বাবা বলেন, বাবুল আকতারের সঙ্গে এক এনজিওকর্মীর পরকীয়া ছিল। এ কারণেই মিতুকে হত্যা করা হয়েছে। 

তিনি জানান, পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে মিতুর সঙ্গে বাবুলের ঝগড়া হয়। মারা যাওয়ার আগে ঘটনাটি মিতু তাদের জানিয়েছিল। বিষয়টি তারা পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টাও করেন। কিন্তু সফল হননি। সবশেষ বাবুল ও ওই নারী মিতুকে হত্যার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন বাবুলের শ্বশুর।

মোশাররফ হোসেন বলেন, মামলায় বাবুলসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি সাতজনের নাম আগের মামলায় পুলিশের তদন্তে এসেছিল। আসামিরা হলেন বাবুল আক্তার, কামরুল সিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোহাম্মদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আনোয়ার, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ সাজু ও মোহাম্মদ কালু।

তিনি আরও বলেন, বাবুলের পরিকল্পনায় আসামিরা তার মেয়েকে হত্যা করেন। ২০১৩ সালে বাবুল যখন কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন এনজিওর এক মাঠকর্মীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। বিষয়টি মিতু জানতে পারলে এ নিয়ে তাদের ঝগড়া হতো।

ঘটনার এত পরে মামলা করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মিতুর বাবা বলেন, বাবুলের বিষয়ে তিনি পরে নিশ্চিত হয়েছেন। একই ঘটনায় দুটি মামলা হয় না। পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পরে তিনি মামলা করেছেন।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই চিঠি দিয়েছে। আমরা মামলাটি পিবিআইকে দিয়ে দিচ্ছি।

এদিকে বাবুল আকতার তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করতে আসামিদের তিন লাখ টাকা দিয়েছিল বলে আদালতে দেওয়া দুই সাক্ষীর জবানবন্দি ও পিবিআইয়ের তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ ছাড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ও নতুন মামলায় লেনদেনের কথা উল্লেখ আছে।

বুধবার (১২ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, বাবুল আকতার স্ত্রীকে হত্যা করার তিন দিন পর তার ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে বলেন, তার লাভের অংশ থেকে তাকে যেন টাকা তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। 

বাবুল এই টাকা সাইফুলের কাছে থেকে নিয়ে বিকাশের মাধ্যমে গাজী আল মামুনকে পাঠান। গাজী আল মামুন ওই টাকা আবার মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মিতু হত্যার মামলার ভিডিও ফুটেজে বাবুল আক্তারের সোর্স এহতেশামুল হক ভোলা, কামরুল শিকদার ওরফে মুসা ছিলেন। কিন্তু ঘটনার পরপর তিনি দাবি করেছিলেন, জঙ্গিরা জড়িত। তার সোর্সকে তিনি চিনলেও বিষয়টি চেপে যান। ভুলেও তিনি সাইফুল হকের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া মুসা ও ওয়াসিমসহ আসামিদের তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেননি।

নিউজ২৪.ওয়েব / ডেস্ক /ব্রিজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *