The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:– ।।সুভাষ সাহা ।।
দুর্নীতি কী শুধু রাজনীতিক,আমলা আর ব্যবসায়ীরাই করেন? গুঞ্জন উঠেছে নতুন করে।স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে ক’জন সাংবাদিকের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে? ক’জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি কমিশনই বা তদন্ত করেছে?প্রশ্ন উঠেছে,তাহলে কী ‘সাংবাদিকরা দুর্নীতি বাইরে ?সাংবাদিক কী ধোঁয়া তুলসীগাছ?(পাতা বললাম না!)যতো বড় সাংবাদিকই হোক না কেন? বেতনসহ সর্বোচ্চ কী পরিমান সুযোগ সুবিধা পান চাকরিস্থল থেকে কম-বেশি সবাই জানেন।
কোন কোন সাংবাদিক জীবিকার প্রয়োজনে বা উন্নত জীবনযাপনের জন্য ব্যবসাবানিজ্য করেন।সাংবাদিকরা বৈধ উপায়ে ব্যবসা করে গাড়ি বাড়ির মালিক হতেই পারেন।এতে দোষের কিছু নেই। ‘ঢাকা শহরেই শতাধিক সাংবাদিকের একাধিক দামি গাড়ি,বিলাসবহুল বাড়ি,প্লট রয়েছে অভিযোগ শোনা যায়। দেশের ভেতরে বিভিন্ন শহরে এমনকি দেশের বাইরেও আছে অস্বাভাবিক অর্থসম্পদ।নিন্দুকেরা বলেন,’ সবাই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বৈধ ব্যবসা করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন সচেতন মহল তা বিশ্বাস করেননা।বেশিরভাগই রাজউক,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,কাস্টমস ডিপার্টমেন্টসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতিবাজ আমলা বা ঠিকাদারদের সঙ্গে মিলেমিশে অগাধ বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ অহরহ।
কাগজ কলমে দু’একটি ঘটনার তদন্ত হলেও আলোর মুখ দেখেছে খুব একটা জানা নেই। সর্বশেষ প্রথম আলোর রোজিনা ইসলাম আটক কাণ্ডের জেরে সাংবাদিক সমাজের ঐকবদ্ধ আন্দোলনের প্রবল জোয়ারের মধ্যেওহাতেগোনা কয়েকজন সাংবাদিক বা ফ্রিল্যান্সার গ্রেফতার রোজিনা ইসলামের কথিত দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে অভিযোগ তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তৃতীয় ধারার সমালোচকের বক্তব্য হচ্ছে,’রোজিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অকাট্য প্রমান বা অভিযোগ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সেখানে বলার কিছু নেই। দেশের সকল নাগরিকের জন্য আইন প্রয়োগে বৈষম্য থাকা অনুচিত। পুলিশের দুর্নীতির বিচার হতে পারলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কেন নয়?অভিযোগ আছে, কিছু সাংবাদিক ‘আমলা বা ব্যবসায়ীদের’ দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করে নিউজ প্রকাশের পরিবর্তে ব্লেক মেইলিংয়ের মাধ্যমে টাকার বান্ডেল পেয়ে চেপে যান!অর্থ বা চোখ রাঙানিকে তোয়াক্কা না করে দুর্নীতির নিউজ প্রকাশ করে এমন সাংবাদিকের সংখ্যা অবশ্য কম নয়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুকুরচুরির গল্প শোনেছি দেশের সত্তরোর্ধ্ব একজন খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মুখে।অন্তত পনের-ষোল বছর আগে ঢাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রেকটিস করতেন সেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।সাংবাদিক পরিচয় জেনে কথা প্রসঙ্গে ক্ষোভের সংগে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেছিলেন,’বিএনপির শাসনামলে ড.মোশাররফ হোসেনের হাত ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লুটপাট শুরু।
পরবর্তীকালে সেই ধারা আরো বিস্তৃতি লাভ করেছে।’অন্যান্য সেক্টরে দুর্নীতির প্রচার থাকলেও স্বাস্থ্যখাতে মূলতঃ দুর্নীতির গোমর জনসমক্ষে আসে অনেক বিলম্বে।বিশেষ করে করোনা মহামারিতে সাংবাদিকদেরসাঁড়াশি অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে অনেক থলের বেড়াল!প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম দৃঢ়তায় অবশেষে ধরা পরে বহু ‘রুইকাতলা’। পরের ইতিহাস সবার জানা।সর্বশেষ চাঞ্চল্যকর রোজিনা ইসলাম ঘটনার জেরে দেশি-বিদেশি মহলের আলোচনা সমালোচনার মুখে সরকার মহা বিপদে।(“কারণ,দেশের বিদ্যমান আইনে মানে সচিবালয় নির্দেশিকার ২য় অধ্যায়ের ৫ নং ধারা এবং সরকারের Rules of business 1996 (Revised upto july 2012) Article 4 এর (V) ধারা বলে মন্ত্রণালয় সহ তাঁর অধীনস্ত সকল দপ্তরের প্রশাসনিক ও একাউন্টেন্ট চীফ হচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব। প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধান বাদে সবাই নাকি ‘ঠুটোঁ জগন্নাথ’।”)(within bracket information source;durjoybangla.org)কিন্তু গোষ্ঠী স্বার্থেই মিডিয়া প্রোপাগান্ডা করে রাজনীতিবিদদের চোর বানানোর প্রয়াস চালাচ্ছেন জনগণের কাছে”এমতাবস্থায় দেশের আইন পরিবর্তন করে প্রশাসনের আমলা ও রাজনৈতিক অংশের মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতার ভারসাম্য না আনতে পারলে দুর্নীতি কমবে না,বরং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
উন্নয়ন থমকে যাবে।’পঞ্চভূতে’ সব গিলে খাবে।
নিউজ২৪.ওয়েব / ডেস্ক / সুভাষ সাহা