Get the Latest News & Videos from News24 > অপরাধ ও দুর্নীতি > যোশেফ কেন সন্ত্রাসী? হলিউড -বলিউডকেও হার মানায়!

অনলাইন ডেস্ক:- জোসেফ-হারিস-আনিস-আজিজ-টিপু পাঁচ ভাই ও তিন বোনের বাবা ওয়াদুদ সাহেব। মা রেনুজা বেগম।এ দশজনের জীবন সংগ্রামের গল্পটা আর  দশটা গল্পের মতো নয়।আট সন্তানের জনক বিমানের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বাবা ওয়াদুদ তিলোত্তমা ঢাকায় মাথা গুঁজার একটি ঠাঁই করে নিয়েছিলেন। হঠাৎ ঝড় এসে স্বপ্ন গুড়িয়ে দেয়! গল্প এখান থেকে শুরু! যে গল্প বলিউড বা হলিউডের সিনেমার গল্পকেও হার মানায়!

আশির দশকের শেষ ও নব্বইয়ের শুরুর দিকে হাউজ বিল্ডিং থেকে ঋণ নিয়ে,গ্রামের কিছু জায়গা জমি বিক্রি করে ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটা দোতলা বাড়ী কিনলেন। পরিবার নিয়ে থাকবেন। গল্পের শুরু সেখান থেকে। হঠাৎ স্বপ্নের বাড়িটি দখল হয়ে গেল! এতগুলো ছেলে মেয়ে নিয়ে পুরো পরিবার রাস্তায়। মেঝো ভাই আজিজ তখন খুব সম্ভবত ক্যাপ্টেন কিংবা মেজর। তাঁর পোস্টিং হয়েছে ঢাকার বাইরে। তাঁদের পিতা গ্রামে গেছেন আরো কিছু জমি বিক্রি করে ঋণের কিছু অংশ শোধ করতে হবে। ঠিক এই সময়ে বাড়ি দখলের ঘটনায় পুরো পরিবারে নেমে আসে অমানিশা অন্ধকার!যেই যোশেফকে নিয়ে এতো রোমাঞ্চকর কাহিনী,এই শহরটাতেই অন্য দশজন তরুণের মতোই তাঁরও স্বাভাবিক জীবন যাপন ছিল। জোসেফ অসম্ভব মেধাবী ছাত্র ছিলো। আজিজ নিজের মেধা ও চেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সুযোগ পান। নিজের ক্যারিয়ার গড়তে লাগলেন।বড় ভাই আনিস পুরো পরিবারকে উঠাবার চেষ্টা করেন বাবার সাথে। হারিসও রাজনীতিতে অল্প অল্প করে সম্পৃক্ত হলেন,নিজের একটা প্রতিবিম্ব তৈরী করবার নিরন্তর চেষ্টায় লিপ্ত।   টিপু ঘরের সবচেয়ে শান্ত ছেলে।সবাইকে ছাপিয়ে মেধা ও প্রজ্ঞায় স্বমহিমায় মোড়ানো আলাদা এক মানুষ। অনেকটাি আবেগতড়িত!উচ্চ মাধ্যমিকে থাকতেই প্রেম জড়িয়ে  বিয়ে করে ফেলে।ঠিক তখনি পরিবারে সবার স্বপ্ন ফিকে হতে শুরু করে।দখল হয়ে যাওয়া বাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামে পুরো পরিবার। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা আজিজ স্টাফ কলেজ থেকেই দীর্ঘঃশ্বাস ছাড়েন। সরকারি চাকুরী করেন। সীমাবদ্ধতার বেড়াজালে তিনিও অসহায়!  পরিবারের এসব গল্প শোনেন আর চুপ-চাপ ভাবেন। সব কিছুর পরেও এই পরিবারের তিনবোনকে আগলে ধরে রাখেন মিলেমিশে সব ভাইয়েরা।


ঠিক সেসময় ৯১ কিংবা ৯২ এর দিকের ঘটনা। মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোর্শেদ জোসেফের পিঠের পেছন দিয়ে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। কি অপরাধ জোসেফের? কিছুই না।মোর্শেদের কিছু সাগরেদকে জোসেফ ভাই বলে সম্বোধন করেনি কিংবা মান্য করেনি! এই হচ্ছে জোসেফের অপরাধ। ব্যাস সেই শুরু। জোসেফ তখন অল্প অল্প করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ঢুকেছে।বিএনপির আমল। জোসেফ ছাত্রলীগ করে। হারিস যুবলীগের রাজনীতিতে থিতু হতে চাইছে,বড় ভাই আনিস ব্যাবসায় মনোযোগ দিয়ে পরিবারটিকে টেনে তুলবার যুদ্ধে অবতীর্ণ,মেজো ভাই আর্মিতে।বিএনপি আমলে সমস্ত ক্ষমতা সন্ত্রাসী মোর্শেদের। জোসেফকে আজকে রাস্তায় পেটায় তো কালকে পেছন থেকে মাথা ফাটিয়ে দেয়। হারিস ঘরে থাকতে পারেনা।ছুরি ঢোকাবার পর সেটি অনেকটা ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয় জোসেফের সোনালী ভবিষ্যৎ ও স্বপ্নকে ছিন্নভিন্ন করে দেয় মোর্শেদ।যোসেফের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয় মারাত্মকভাবে। দীর্ঘদিন সে যন্ত্রণায় কাটিয়েছে। সেই যন্ত্রণা থেকে এখনো পুরোপুরি সুস্থ্য নন তিনি। ইনফ্যাক্ট জেলের দীর্ঘ সময় সেই ৯০ দশকের ছুরির আঘাত তাঁকে পিছু ছাড়েনি। ৯০ এর দশকে মোর্শেদের সন্ত্রাসী বাহিনী একবার পেছন থেকে রডের বাড়ি দিয়ে মাথার পেছনটা থেঁতলে দিয়েছিলো। সেখান থেকেও বেঁচে ফিরেছে জোসেফ।এক সন্ধ্যায় মোর্শেদ আর তার বাহিনী জোসেফদের মোহাম্মদপুরের বাসায় আক্রমণ করে বসে। জোসেফ কিংবা হারিস কিংবা আনিস কেউই ছিলোনা বাসায়। ব্রাশ ফায়ার করে নরক কুন্ড বাঁধিয়ে দেয় ওয়াদুদ সাহেবের বাড়িতে। কোনো বিচার পায়নি ওরা বিএনপি’র আমলে।সে সময় আরো প্রভাবশালী ছিলো সলু, সেতুসহ মোহাম্মদপুরের আরো অনেক সরকার দলী ‘নেতা’ কিংবা পাতি নেতারা।

১৯৯৩ সালে না ফেরার দেশে চলে যান তাঁদের বাবা ওয়াদুদ সাহেব মানেজোসেফ-আনিস-হারিস-আজিজ-টিপু’র বাবা। পুরো পরিবারের মাথার উপর থেকে সরে যায় এক বটবৃক্ষ।এসব ঘটনার বাস্তবতা,এই সমাজের নিষ্ঠুর মানুষেরা, এই রাজনীতি..জোসেফকে নিয়ে এসেছে প্রতিশোধের অশান্ত জীবনে। জোসেফের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়। জোসেফও পালটা আঘাত শুরু করে। হারিসও একই পথে! আর কত পালিয়ে থাকা? আর কত অত্যাচার সহ্য করা? বোনেরা স্কুলে যেতে পারেনা, দুইদিন পরপর বাসায় আক্রমণ,পুলিশী তৎপরতায় পুরো পরিবার অতিষ্ঠ।একদিন বড় ভাই আনিস সাহেব বিছানার সাথে লাগানো মশারির স্ট্যান্ড খুলে জোসেফকে পেটান। পেটাটে পেটাতে সিদ্ধান্ত নেন, মেরেই ফেলবেন আজকে জোসেফকে। তাঁর একটাই কথা, ‘তুই কেন এসবে গেলি? কে তোকে বলেছে রাজনীতি করতে?’আমরা এই গল্পে যে জোসেফকে দেখতে পাচ্ছি,রূপান্তর জোসেফকে দেখতে পাচ্ছি! আসলে এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। পরিস্থিতির শিকার হয়ে জন্ম আর পুনঃজন্ম হতে হতে আজকে নামান্তর হয়েছে ‘সন্ত্রাসী জোসেফ’!মোহম্মদপুরের বাসিন্দা এই গল্পের লেখকের ভাষায়,’আমরা যারা মোহাম্মদপুরে বড় হয়েছি,আমরা যারা আদাবর-শ্যামলীতে বড় হয়েছি,যেখানে আমাদের নাড়ি পোতা আমরা জানি এই পরিবারের গল্প। আমরা এই পরিবারটির আদ্যোপান্ত জানি ।জোসেফ কিংবা হারিস অন্যায় অপরাধের সাথে একটা পর্যায়ে যুক্ত হয়নি,এই দাবী আমি করবোনা। আঘাত খেতে খেতে, অত্যাচার সহ্য করতে করতে অন্ধকার দেখলে বোনকে জড়িয়ে রাখা জোসেফ, একা ঘুমাতে না পারা সবার আদরের ভাই জোসেফ ততোদিনে পাল্টা আঘাত দিতে শিখে গেছে।আইন-কানুন-নিয়ম-নীতি সব কিছুর আবরণে আমরা জোসেফ কিংবা হারিসকে বলি সন্ত্রাসী। হয়ত বলাই যায়। কিন্তু এর ভেতরের গল্পটা জানেন কয়জন ?আনিস সাহেব ব্যবসার কাছে তখন ঢাকার বাইরে। কিন্তু মোস্তাফিজ হত্যাকান্ডে বড় ভাই আনিসের নামটা ঢুকিয়ে দেয়া হলো। এই পরিবারের সবচাইতে শ্রদ্ধেয় ভাই তাঁদের। যিনি বাবার আদরে প্রতিটি সন্তানকে দেখভাল করেছেন। তাঁকেও মিথ্যে মামলায় করে দেয়া হোলো আসামী। করা হলো গ্রেফতার।শেখ হাসিনা’স ম্যান? হাসি পায়…১৯৯৬ সালে তিন ভাইকেই গ্রেফতার করা হলো। চার্জশীট দেয়া হোলো। একটা পর্যায়ে তো বড় ভাই আনিসকে বঙ্গবন্ধুর খুনী মোসলেহ উদ্দিন বলে কিছুদিন হয়রানিও করা হলো। আর দুঃস্বপ্নের মত সে এলাকার তৎকালীন প্রভাবশালী এমপি হাজী মকবুল তো জন্মান্তর ধরে এই পরিবারের পেছনে লেগেই ছিল।১৯৯৯ সালে আওয়ামীলীগ আমলেই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন মেরে ফেললো এই পরিবারের সবচাইতে মেধাবী আর শান্ত ছেলে টিপুকে। রাস্তায় পড়ে থাকে টিপু। আরো একটি নাম উঠে আসে সাথে সাথে। বিহারি জাভেদ।

বলা হয় টিপু কোথায় যাবে,কিভাবে যাবে কিংবা জোসেফ কোথায় আছে,কি করে কিংবা এই পরিবারের প্রতিটা সংবাদ প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে আসে জাভেদ। এই পরিবারের ঘনিষ্ঠ সেজে পেছন থেকে ছুরি চালায়।টিপু হত্যার বিচার নিয়ে আমরা একটি কথাও বলেছি কি? আমরা একটি বারের জন্য টিপুকে হত্যার কারণ জানতে চেয়েছি কি? উত্তর হচ্ছে, চাইনি। কারণ আমাদের মনন-মগজ আর মজ্জায় রয়ে গেছে টিপুর ভাই ‘জোসেফ’। আর জোসেফকে সবাই সন্ত্রাসী হিসেবেই জানে ফলে টিপু মরে গেছে ভালো হয়েছে। এইতো কথা?জোসেফ কি নানাবিধ অপরাধের সাথে ছিলো? কিংবা হারিস? নির্মোহভাবে দেখতে গেলে এই কথা অস্বীকার করবার উপায় বোধকরি নেই যে,জোসেফ কিংবা হারিসকে আমরা নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করতেই পারি। কিন্তু জোসেফের মত মেধাবী কিংবা ঘরকুনো ছেলেটা এই পথে এলো কেন,কী করে?কেন তাকে এই প্রতিশোধের রাস্তায় আসতে হোলো? আমরা কি সেটি কোনোদিন ভেবে দেখেছি? জোসেফ, এই পরিবারের উপর অত্যাচার আর অনাচার দেখে এই পথে পা বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন, এই সত্যটা আমরা স্বীকার করতে আসলে ভয় পাই। আমাদের কুন্ঠা হয়। আমাদের এই ‘বিখ্যাত কুন্ঠাবোধ’ আমাদের সত্যকে খুঁজতে মাঝখানে দেয়াল হয়ে বাঁধা দেয়।যে জোসেফ অন্ধকার দেখলে ছোটবোনটাকে জড়িয়ে ধরতেন, যে মানুষটা একা খেতে পারতেন না, একা থাকতে পারতেন না সে মানুষটাকে অন্ধকার জীবনে পা বাড়াতে হয়েছে! অন্ধাকার জেলে ২২ টি বছর কাটিয়ে দিতে হয়েছে। কৈশোর, তারুণ্য আর যৌবন সব শেষ করে দিয়েছেন তিনি।আমার মনে আছে একই গল্প ছিলো কালা জাহাঙ্গীরের ক্ষেত্রেও! ম্যাট্রিক পরীক্ষায় স্টার মার্ক্স পাওয়া ছেলেটি কিভাবে রাস্তায় মার খেয়ে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন। সেটিও জানি আমরা। জাহাঙ্গীরের মা ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। ভাই ছিলেন আর্মিতে। অনেকের জীবনে গল্প থাকে এমন।এমন একটি সংগ্রামী পরিবার থেকে আজিজ আহমেদ উঠে এসেছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছেন জীবনের এতটা বছর।

বিএনপি আমলেও তাঁর পদন্নোতি হয়েছিলো,আবার হয়েছিলো আওয়ামীলীগ আমলেও। অথচ সাধারণ মানুষদের যেখানে বলবার কথা যে, এমন একটি বিপদ শংকুল অবস্থা থেকেও যেই লোকটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হতে পারেন,আমরা তাঁকে স্যালুট জানাই। কিন্তু মানুষ সেটা করেনি।জোসেফের ভাই কেন সেনাপ্রধান হবে? এই হচ্ছে আমাদের জনতার বেশীরভাগের প্রশ্ন? মানে দাঁড়াচ্ছে,এই সমাজ জোসেফ তৈরী করবে আবার এই সমাজ একজন আজিজ তৈরী হতে দেবে না!মাঝে মধ্যে এই সমাজের গায়ে গলা খাকারি দিয়ে থুতু দিতে ইচ্ছে হয়। এই ভ্রষ্ট সমাজ,এই নোংরা সমাজ বড় নিষ্ঠুর। বড় কুৎসিত।এতটা অন্ধকার এই পরিবারকে পার হতে হয়েছে অথচ সব কিছুর পরেও ভাইয়েরা এই পরিবারের বোনদের ঘিরে রেখেছিলেন সমস্ত মমতা দিয়ে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন বোনদের।এই পরিবারের বড় ছেলে আনিস কিছু না করেও জীবনের একটা বড় সময় পালিয়ে বেড়িয়েছেন মিথ্যে মামলা কাঁধে নিয়ে। যিনি ঘটনার সময় ছিলেন-ই না, তিনিও হয়ে গেলেন হত্যা মামলার আসামী। হয়ে গেলেন ফেরারী। এর-ই নাম জীবন…আচ্ছা আপনারাই বলেন তো, ৯ টা গুলি খাবার পরে একজন ব্যাক্তি কি করে বলতে পারে হারিস তার লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে তাকে গুলি ছুঁড়েছে? ইনফ্যাক্ট ৯ টা নয়, ১ টা গুলি খেয়েও তো বলা সম্ভব না এটা লাইসেন্স করা পিস্তল নাকি অবৈধ পিস্তল!যে লোক মৃত্যু পথে, তিনি কি করে বলেন কিংবা কি করে এমন নিঁখুত বর্ণনা দেন তাঁকে কে কে মেরেছে?আচ্ছা যেই মোস্তাফিজ নিহত হয়েছে, তার কোমরেই বা কি করে একটি রিভলবার থাকে? আর সেই রিভলবার দিয়েই কি করে জোসেফ তাকে গুলি করে? সেই রিভলবার কি বৈধ ছিলো? তাহলে জোসেফ কি তাকে মারাতে যাবার সময় পিস্তল নিয়ে যায়নি? তাহলে কি জোসেফ খালি হাতে তাকে মারতে গিয়েছিলো?কত প্রশ্ন,কত কৌতুহল…সব কিছুই আপনাদের সামনে আনবো একটা একটা করে। মামলার কপিগুলো হাতে আসুক…একবার যখন হাত দিয়েছি তখন পুরো গল্প-ই শেষ করে যাবো। গল্প অর্ধেক কেন জানবে মানুষ? পুরোটাই জানুক। পুরোটাই বুঝুক।লেখক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আইনজীবি, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষককি করে আনিস সাহেবরা ফেঁসে যায়, কি করে জোসেফ কিংবা হারিসরা সন্ত্রাসী বলে পরিচিতি পায়,এই গল্প সবারই জানা থাকা দরকার।

লেখাটি লেখকের ফেসবুক থেকে নেওয়া।https://www.facebook.com/nijhoom.majumder/posts/3885376244884380

তথ্যসূত্র:ফরিদপুর প্রতিদিনডটকম

নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/ ব্রিজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *