Get the Latest News & Videos from News24 > অপরাধ ও দুর্নীতি > মেহজাবিন ও তার বোনকে দিয়ে ‘দেহ ব্যবসা’ করাতেন মা!

অনলাইন ডেস্ক:– রাজধানীর কদমতলীর একটি বাসা থেকে একই পরিবারের তিনজনের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আরও দুজনকে।  

শনিবার সকালে জুরাইনের মুরাদপুরে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুলের (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

অচেতন অবস্থায় মেয়ের জামাই শফিকুল ইসলাম ও নাতনি তৃপ্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ওই পরিবারের বড় বোন মেহজাবিন ইসলাম মুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। 

পুলিশ বলছে, পরিবারের সবার প্রতি ক্ষোভ থেকে সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন ২৪ বছর বয়সী ওই নারী।

শফিকুল হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার রাতে তার স্ত্রী তাকে চা দিয়েছিল। সেই চা পানের পর আর কিছু তার মনে নেই।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘সে (মেহজাবিন) কৌশলে বাসার সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর সবাই অচেতন হয়ে যায়। এরপরই সকলের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধে। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।’

ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘মেহজাবিনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, বাবা না থাকায় তার মা তাকে এবং তার ছোট বোনকে (নিহত জান্নাতুল) দিয়ে দেহ ব্যবসা করাত। এসব নিয়ে প্রতিবাদও করেছিল সে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।

‘তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ছোট বোনকে দিয়ে ব্যবসা চলছিল। এর মধ্যে তার স্বামী ছোট বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে।’

এছাড়া মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ওমানে আরেকটি বিয়ে করেছেন।

এসব মিলিয়ে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ থেকে পরিবারের সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে মেহজাবিন পুলিশকে জানিয়েছেন।

তবে মেহজাবিনের একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো কতটুকু সম্ভব, এ নিয়ে পুলিশের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘মেহজাবিনের স্বামীকেও আমরা সন্দেহের বাইরে রাখছি না। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সম্পত্তির বিষয়ও এখানে রয়েছে। তদন্তে এসব আসবে।’

নিউজ২৪.ওয়েব / ডেস্ক / রূপা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *