Get the Latest News & Videos from News24 > চিত্র-বিচিত্র > প্রেমে পড়লে শরীরে যে প্রতিক্রিয়া হয়

অনলাইন ডেস্ক:-ভালোবাসা শুধু মানসিক আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়। এর সঙ্গে শারীরিক অনেক কিছু জড়িত। প্রেমে পড়লে বিভিন্ন হরমোন একসঙ্গে কাজ করে, যা আমাদের অন্য কারো প্রতি আরো আসক্ত হতে সহায়তা করে। 

যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক একটি ইনফোগ্রাফিক তৈরি করেছেন, যেখানে ভালোবাসার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছেন, প্রেমে পড়লে আমাদের মন ও দেহে কী ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

গবেষকদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী শরীরের হরমোন এবং অণুর সমন্বয় সম্পর্কের তিনটি পর্যায়- কাম, আকর্ষণ এবং সংযুক্তি; যা প্রেমের ক্ষেত্রে গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে। এবং প্রতিটি ধাপেই আলাদা আলাদা রসায়ন কাজ করে অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি হরমোনগুলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার পেছনেও চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।’

গবেষকদের মতে, ইতিহাসের প্রতিটি প্রেম কাহিনি রাসায়নিক ডোপামিন দিয়ে শুরু হয়েছিল, যা মস্তিষ্ক ও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি হতে উৎপাদিত।

আধুনিক মনোবিদ্যা অনুযায়ী, এই রাসায়নিক উপাদান হরমোনের মাত্রা বাড়ায়, ঘাম গ্রন্থি এবং অনেক অঙ্গকে প্রভাবিত করে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূলত জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। যদি আপনি একটি সম্পর্কের প্রাথমিক পর্যায়ে অধিক ঘামেন তবে এর জন্য ডোপামিন দায়ী। এর দ্বারা আপনার মেজাজ এবং আবেগ প্রভাবিত হয়। 

আপনার শরীর এই ক্ষমতাশালী রাসায়নিক উপাদান দ্বারা পূর্ণ হওয়ার পরে আপনি কাম পর্যায়ে প্রবেশ করেন, যা যৌন হরমোন টেসটোসটের এবং ইস্ট্রজেন দ্বারা চালিত। এই হরমোন আপনাকে একটি সঙ্গী খুঁজে পেতে সাহায্য করে এবং এটি আপনার যৌন চাহিদার জন্য দায়ী প্রধান হরমোন। একবার যদি আপনি কাউকে কামনা করতে শুরু করেন, এরপর আপনি তার প্রতি আকৃষ্ট হবেন। 

ভালোবাসার যাত্রার এই অংশ ডোপামিন এবং নরপাইনফ্রাইন দ্বারা প্রভাবিত হয়, যা পরে সেরোটোনিন মাত্রায় হ্রাস পেয়ে একসঙ্গে মিলিত হয়। ইনফোগ্রাফিক অনুযায়ী, ‘যখন দুজন মানুষ একে অপরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে তখন এই ককটেলের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায় এবং তাদের কাছাকাছি হওয়ার ইচ্ছাও বৃদ্ধি পায়।’ এটি তখনই বুঝবেন যখন আপনার শারীরবৃত্তীয় কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে। যেমন হৃদস্পন্দন, ঘাম এবং বর্ধিত শ্বাসপ্রশ্বাস।

যে কেউ কারো প্রতি অনেক বেশি আকর্ষণ অনুভব করলে এসব রাসায়নিক পদার্থের একটি বড় অংশ শরীর থেকে বের হয়ে আসে এবং এভাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তেরি করে। তবে এটা পরিমাপ করা কঠিন। কিন্তু যদি কোনো কারণে আপনার এই সম্পর্ক ব্যর্থ হয় তখন এই রাসায়নিক উপাদানের মাত্রা কমে যায়, যা আপনার মন খারাপ হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এখন আপনি যে বিশেষ কারো প্রতি আকর্ষণ অনুভব করছেন, খুব শিগগিরই আপনি তার সঙ্গে যুক্ত হবেন। দুজনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সংযুক্তির পেছনে হরমোনের বিভিন্ন সেট জড়িত। যেমন অক্সিটসিন এবং পিটুইটারি গ্রন্থি-নিঃসৃত একরকম হরমোন যা ক্রিয়া কমায় ও রক্তচাপ বাড়ায়। এটি মানুষের বিয়ে করার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট। 

এ প্রসঙ্গে গবেষকরা বলেন, এটা ঠিক যে বিজ্ঞান একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তার মানে এই নয় যে, এটিই ধ্রুব সত্য। সম্পর্কের জটিলতার কারণে এটা বলা কঠিন যে, একটি সম্পর্ক কখনো বিবর্ণ হবে না।

নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/আয়েশা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *