The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:-পরীক্ষা ছাড়াই নতুন সেমিস্টার শুরু করায় বিপাকে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, পরবর্তীতে দুটো সেমিস্টার পরীক্ষা একসাথে নেয়া হলে বাড়তি চাপ পড়বে। পরীক্ষা ছাড়া পড়াশোনার গতি মন্থর হয়ে আসবে বলেও মত তাদের। তবে করোনায় সেশনজট কমাতেই এ সিদ্ধান্ত বলছে কর্তৃপক্ষ।
করোনা মহামারীর কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ শিক্ষাকার্যক্রম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় পহেলা জুলাই থেকে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বড় ধরণের সেশন জট এড়াতেই চলমান সেমিস্টারের পরীক্ষা না নিয়ে পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস অনলাইনে শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো: আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে জীবনের প্রতি, স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রতি। সেগুলো বিবেচনা নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। আবার একই সঙ্গে শিক্ষার গুণগতমান সে বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হয়। বাস্তবতা, বিজ্ঞান সম্মত দৃষ্টিভঙ্গি এসব বিবেচনায় নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হচ্ছে।’
তবে নতুন সেমিস্টারে উঠার আনন্দ নেই শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে। বরং হতাশ তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পরিবর্তে সশরীরে যদিও নেওয়া যায় তবে সেটাই ভালো হয়। কারণ সময় চলে যাচ্ছে, সেমিস্টার শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কেউ বলছেন, এক সময় সেমিস্টার শেষ করে অন্য সময় পরীক্ষা দিলে পড়ার একটা ফারাক থেকে যায়। তারা বলছেন, একজন শিক্ষার্থী কোন কিছু না জেনে, না বুঝে পরীক্ষার হলে বসতে পারবে না। কারণ তার মাথা নতুন একটি সেমিস্টারের চাপ থাকবে।
গত মার্চ থেকে দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হলে কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/আয়েশা