Get the Latest News & Videos from News24 > অপরাধ ও দুর্নীতি > নির্যাতন করে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট, পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক:- স্ত্রীকে নির্যাতন করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। বরগুনা থানায় মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলাটি করেন পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর মা হেলেনা বেগম।

বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান বুধবার মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে তাজুল ইসলাম রুবেল, তার বাবা মোস্তফা গাজী ও মা সাহানা বেগম। রুবেল ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত।

জানা যায়, ২০১৫ সালে একই উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলামের মেয়ে সুমি আকতারের সঙ্গে রুবেলের বিয়ে হয়। রুবেল ছুটি নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে এসে ৫ আগস্ট চাকরির প্রমোশনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সুমি যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে উত্তেজিত হয়ে প্রথমে রুবেল সুমির তলপেটে লাথি মারে।

রুবেলের বাবা মোস্তফা গাজী ও মা সাহানা বেগমও সুমিকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে। সুমির ডাক-চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে সুমির বাবা মনিরুল ইসলাম, মামা বশির গাজী, মামুন গাজী ও জলিল ফকির রুবেলের বাড়ি থেকে সুমিকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।

একদিন পর সুমির রক্তপাত শুরু হয়। ৮ আগস্ট ডাক্তার আজমিরী বেগমের শরণাপন্ন হলে তিনি আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বলেন। আলট্রাসনোগ্রামে সুমির দুই মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে মর্মে রিপোর্টে দেখা যায়।

সুমি বলেন, যৌতুকের জন্য আমার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি আমাকে মারে আর বলে ওর সন্তানকে বাঁচতে দিবি না। ওর সন্তান জন্ম নিতে দেওয়া যাবে না। সবাই আমার পেটে লাথি মারছে। লাথিতে আমার প্রথম সন্তান নষ্ট হয়েছে।

মামলার বাদী হেলেনা বেগম বলেন, ১০ আগস্ট আমি বরগুনা থানায় মামলা করেছি। ওসি স্যার মারুফ দারোগাকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পাইছে। তারপর আমরা এডিশনাল এসপির কাছে গেছি। তারা বলে আমরা মামলা নেব। পরে তারা অনেক দিন ঘুরাইয়া আমাকে মামলা ফেরত দেয়। আসামি পুলিশ সেই কারণে মামলা নেয়নি। আমার স্বামীও পুলিশ ছিল। এক মাস আগে অবসরে গেছেন।

রুবেল বলেন, বাদীর ঘটনা সত্য নয়। আমি ছুটিতে বাড়িতে গেলে আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে দেখা করেনি।

বরগুনা থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, বাদীর অভিযোগ সত্য নয়। বাদী মামলা দেওয়ার পর আবার নিয়ে গেছেন। তারা নাকি আদালতে মামলা করবেন।

নিউজ২৪.ওয়েব / ডেস্ক/ রূপা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *