The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:-ভারতের দিল্লিতে অক্সিজেন সংকটে পড়েছেন শবনম ফারিয়ার বড় বোন বন্যা। ফেইসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে এমনটাই জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে বন্যা করোনায় আক্রান্ত নাকি অন্য কোনো অসুস্থতায় ভুগছেন সে সম্পর্কে কিছু জানাননি ফারিয়া।
শবনম ফারিয়া আবেগী স্ট্যাটাসে বোনদের সঙ্গে তার সম্পর্ক, পরিবার ও মায়ের কথা তুলে ধরেন।
অভিনেত্রী লেখেন, “আমার বড় বোন আমার ১৬ বছর আর মেজো বোন প্রায় ১২ বছরের বড়! আমার সারাজীবন কষ্ট ছিল, অন্যদের বোনদের সাথে যেমন বন্ডিং থাকে আমার নাই! ইনফ্যাক্ট আমার বড় দুই বোনের নিজেদের মধ্যে যেই বন্ডিং সেটা আমার সাথে নাই! আমার বয়স যখন সাড়ে তিন বড় আপুর বিয়ে হয়ে গেছে, ৫ বছর বয়সে ছোট আপু পড়াশুনার জন্য বাসার বাইরে, তারপরতো বিয়েই হয়ে গেল আপুর! আমি সেভাবে কখনো আমার বোনদের সাথে থাকি নাই। বরং আমার ভাগনে-ভাগনি আমার বন্ধু।”
“বয়সে যুগের পার্থক্য থাকায় আমার সাথে ওদের একটা জেনারেশন গ্যাপ সব সময়ই প্রকট! তার ওপর তাদের সব সময় মনে হতো ‘ভালো ফ্যামিলির মেয়েরা মিডিয়াতে কাজ করে না’, এইটা নিয়ে আমার দুঃখের সীমা-পরিসীমা নাই! কখনো উৎসাহ দূরের কথা, পারলে দুই-চারটা কথা শোনানোর সুযোগ পেলে মিস করে না! কষ্টের ওপর ডাবল কষ্ট!”
‘দেবী’ সিনেমার নীলু এরপর লেখেন, “কিন্তু পরশু আমার বড় আপু যখন বললো, ‘তৃপ্তি আমার খুব কষ্ট হচ্ছে’ আমি জানি ফোনটা রেখে আমি কতক্ষণ হাউ-মাউ করে কাঁদছি! আমার মেজোবোন কল করে কাঁদতে কাঁদতে যখন বললো, ‘তৃপ্তি আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে, আমি এতো মানুষকে খাওয়াই, আমার বোন বিদেশে শুয়ে খাওয়ার কষ্ট পাচ্ছে’। কী বলে আমার বোনকে সান্ত্বনা দিবো!”
“আমার বাবা ডাক্তার ছিলো। সবার সব অসুস্থতায় বাবার কাছে আসতো! আজকে দিল্লিতে আমার বোন অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে! আমরা হেল্পলেস, কিছু করার নাই।
আমরা পরশু পর্যন্ত মার কাছ থেকে পুরা বিষয়টা গোপন করে রেখেছি। কালকে মেজো বোন বললো, ‘তৃপ্তি আম্মু দোয়া করলে যদি বন্যা ভালো হয়ে যায়, চল আমরা আম্মুকে জানাই’। গত দুইদিন আমার মার মুখের দিকে তাকানো যায় না। তার বড় মেয়ে, ১৮ বছর বয়সে তার মেয়ে হইসে। যখন সে নিজেই বাচ্চা…। সেই মেয়ের এই অবস্থা তো তার সহ্য হয় না। তাও এতো দূরে এখন!”
নিজের অনুভূতি প্রকাশে সবসময়ই খোলামেলা ফারিয়া। তিনি বলেন, “আমরা আসলে কাছের মানুষদের ওপরই বেশি অভিমান করি, কষ্ট পাই, রাগ করি। আর সম্ভবত সেজন্যেই তারা কাছের মানুষ! দূরের মানুষের সাথে আর কিসের রাগ! কিন্তু কিছু ঘটনা আসে, তখন বুঝতে পারি আমাদের জীবনে তারা কত স্পেশাল, তাদের আমরা কত ভালোবাসি, তারা কত কিছু করে আমাদের জন্য…।
সবার কাছে একটা অনুরোধ, আপনার দোয়ার সময় আমার বড় আপুর কথা একটু স্মরণ করবেন। ঢাকায় বসে আসলে দোয়া করা বা দোয়া চাওয়া ছাড়া আমাদের কিছু করার নাই।”
ঢাকায় টেলিভিশনের প্রিয়মুখ শবনম ফারিয়াকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে একাধিক নাটকে দেখা যাবে।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/আয়েশা