Get the Latest News & Videos from News24 > সারাদেশ > দাফনের ৫ বছর পর কবর খুঁড়ে তোলা হলো সাংবাদিকের লাশ

অনলাইন ডেস্ক:-বগুড়ার নন্দীগ্রামে দাফনের পাঁচ বছর পর কবর থেকে সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলের (৩৮) লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলনের পর মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সকালের আনন্দ পত্রিকার নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি শফিউল আলম বিপুল উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে।

গত ২০১৬ সালের ১৮ জুন বিকালে বরিন্দা পাগরাপাড়া এলাকায় বিপুলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তিনি এক আসামির মোটরসাইকেলে নন্দীগ্রামে ফিরছিলেন। বিপুল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এদিকে সাংবাদিক বিপুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আটজনের নামে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি নন্দীগ্রাম থানায় রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।

এতে আসামি করা হয়, বর্ষণ গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম জুয়েল (৩৫), আব্দুল মান্নান (৩৮), নছির উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫৫), আব্দুল মজিদ (৫০), আব্দুল মজিদের ছেলে মানিক উদ্দিন (২৭), ইসমাইল হোসেনের ছেলে খোকন হোসেন (৪৫), কোলদীঘি গ্রামের আব্দুল জোব্বারের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৫) ও বরেন্দ্র পাকুরিয়াপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আবু সাঈদ (৩৫)।

এদিকে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিপুলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এর পর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রূপম দাসের উপস্থিতি তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ্ সুলতান হুমায়ন পারিবারিক কবরস্থান থেকে বিপুলের মরদেহ উত্তোলন করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলের ছোট ভাই কামরুল হাসান বলেন, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করেছে। ঘটনার দিন ভাইয়ের (বিপুল) মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা জুয়েল মাথায় আঘাত করেন। এর পর ওই হত্যার ঘটনাটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হয়েছিল। তিনি তার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।

নিউজ২৪.ওয়েব /ডেস্ক / রূপা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *