The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক :-করোনার টিকা নিতে ১২ ঘণ্টা আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকেই মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
হাতে সময় আছে মাত্র দুদিন। তাইতো এখনও যারা প্রথম ডোজ নিতে পারেননি, তাদের ভিড় কেন্দ্রের বাইরে। তবে রাতভর অপেক্ষা করেও টিকা পাওয়ার অনিশ্চয়তা অনেকের।
রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলি টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা মিলে ফিরোজা খাতুন নামে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধার। এর আগে দুদিন এসেও পাননি টিকা তাইতো কেন্দ্র খোলার প্রায় ১২ ঘন্টা আগে এসে নিয়েছেন অবস্থান। তার মতো আরও শত মানুষ এসেছেন ধানমন্ডির এই টিকাদান কেন্দ্রে। কেউ সন্ধ্যা ৭টায় বা নয়টায় কেউবা তারও আগে।
ফিরোজা খাতুন বলেন, দুইদিন টিকা দিতে এসে ফিরে গেছি। মানুষের ভিড়ের কারণে আর টিকা নিতে পারিনি। তাই আজকে রাতেই চলে আসলাম যেন আগে সিরিয়াল পাই।
লুডু খেলে বা গল্প করে বা চা খেয়ে কাটছে সময়। এই কেন্দ্রে প্রতিদিন দেয়া হচ্ছে সাড়ে তিনশো মডার্নার টিকা। সে তুলনায় আগ্রহীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি থাকায় টিকার সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন আগতরা।
টিকা নিতে আসা এক গৃহকর্মী জানান, বাসা-বাড়িতে কাজ করে সংসার চলে আমাদের। যাদের বাসায় কাজ করি তাদের সবাই টিকা নিয়েছেন এবং আমাকে বলে দিয়েছে, আমি যদি টিকা না নিই তাহলে বাসায় কাজ করা বন্ধ। এজন্য গত ৩ দিন এসে টিকা না পেয়ে ফিরে গেছি। আজ রাত ১১টা থেকে এখানে প্রতিবেশী কয়েকজনসহ লাইন দিয়েছি।
টিকা নিতে আসা এক ব্যাক্তি জানান, বাইরে বাইরে কাজ করি। টিকা না নিয়ে করোনা হয়ে মারা গেলে আমার সংসার দেখবে কে? গত রোববার বিকেল ৩টায় এসে দেখি টিকা দেয়া শেষ। এরপর সোমবার সকালে এসে লাইন দিলেও টিকা নিতে পারিনি। আজ রাত সাড়ে ১০টা থেকে এখানে লাইনে।
টিকা নিতে আসা আরেক এক ব্যক্তি জানান, মানুষের তুলনায় টিকার পরিমাণ কম। অনেকে না পেয়ে ফিরে যায়। টিকার পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত। না হয় মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হবে।
৭ আগস্ট থেকে ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান শুরুর পর থেকে নিবন্ধন ছাড়াই টিকা নেয়ার সুযোগ থাকায় প্রতিদিনই অনেককে ফিরতে হয় ভ্যাকসিন না পেয়েই।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/আয়েশা