The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক :-অন্তঃসত্ত্বা ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের করোনার টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন টিকা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। সোমবার (০২ আগস্ট) ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ (নাইট্যাগ) এ সুপারিশ করে।
এ বিষয়ে নাইট্যাগের সদস্য ডা. বে-নজির আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ৩১ জুলাই নাইট্যাগের একটি বৈঠকে এ বিষয়ক সুপারিশ করেছেন তারা।
ডা. বে-নজির বলেন, তাদেরকে টিকা দেওয়া যেতে পারে মর্মে আমরা মতামত দিয়েছি।
ডা. বে-নজীর বলেন, সরকার নিজেই চাচ্ছিল তাদের টিকা দিতে চাচ্ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয় বলেছিল- আমরা দিতে চাই; নাইট্যাগের কাছে পরামর্শ চাচ্ছি। আমরা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা মতামত দেই, উনারা সুবিধা-অসুবিধা দেখে উনাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে, এর আগে চলমান টিকা কার্যক্রমে অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার বিষয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদক্ষেপ নিতে বলেন হাইকোর্ট।
সোমবার (০২ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।
দায়িত্বরত আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বিচারক বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবকে বলবেন অন্তঃসত্ত্বাদের ব্যাপারে যদিও গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রেসের সামনে বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বাদের টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমার মনে হয় এ বিষয়টি নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসা প্রয়োজন। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলবেন তিনি যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যাতে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়।
আদালত আরও বলেন, যেহেতু মন্ত্রী সাহেব বলেছেন, সেহেতু আমরা ফরমাল কোনো আদেশ দিচ্ছি না। অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব যাতে যোগাযোগ করেন এবং এ বিষয়ে একটা পরিষ্কার বক্তব্য আসে।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, মাই লর্ড কোর্ট শেষ হলেই বলে দিচ্ছি। এরপর রিট আবেদনটি মুলতবি করেন আদালত।
অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত শনিবার (৩১ জুলাই) হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। যার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা একজন নারী আইনজীবীও রয়েছেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে আজ (সোমবার) আদালত মৌখিকভাবে এ আদেশ দিয়ে আবেদনটি মুলতবি রাখেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় এ রিট করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন রিটকারীদের একজন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব।
রিটে স্বাস্থ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআরের পরিচালককে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়। অর্থাৎ ৩৫ লাখ অন্তঃসত্ত্বা আরও ৩৫ লাখ মানুষের অস্তিত্ব বহন করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকারের নির্ধারিত করোনার টিকা রেজিস্ট্রেশনের সুরক্ষা অ্যাপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ তাদের চেয়েও কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এ অধিকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার। তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা একটি নিপীড়নমূলক, বৈষম্যমূলক এবং তাদের জীবনধারণের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তঃসত্বা ও দুগ্ধদানকারী নারীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হলেও বাংলাদেশে এখনও তা শুরু হয়নি।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/আয়েশা