The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:– বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা দিয়ে থাকে। বিভিন্ন হরমোনের তারতম্যের কারণে নারীর শরীরে নানা রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। চিকিসৎকরা জানান, নারীর ক্ষেত্রে মেনোপোজ পর্বের সূচনার সময় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়সের পর নারীর হার্টের সমস্যা, স্তন ক্যানসার এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগগুলো দেখা দেয়। তাই নারীর ৪০ বছর বয়স হলে অবশ্যই এ পাঁচটি সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত—
রক্তচাপ স্ক্রিনিং: মধ্য বয়সি নারীর প্রায়ই রক্তচাপের মাত্রার তারতম্য ঘটে থাকে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে যদি চিকিৎসা না করানো হয়, তা হলে হার্টঅ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। কিছু সাধারণ ডায়েট এবং জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তচাপ কমানো যায়। ওষুধ ছাড়াই নিয়মিত কিছু যোগ-ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেই হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি এড়ানো যায়।
স্তন ক্যানসার: সব বয়সের নারীকেই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার হচ্ছে— দুটি খুব সাধারণ ক্যানসার, যা সব বয়সী নারীর হতে পারে এবং বয়সের সঙ্গে এটি হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তাই এ ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য বছরে অন্তত একবার স্মিয়ার ও ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা দুটি করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
অস্টিওপোরোসিস: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব এবং হাড়ের শক্তি কমে যাওয়া অনেক স্বাভাবিক বিষয়। অস্টিওপোরোসিস হাড়কে আরও দুর্বল করে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি পুরুষের তুলনায় নারীর বেশি হয়ে থাকে। হাড়ের ঘনত্ব শনাক্ত করতে ডেক্সা স্ক্যান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
ব্লাড সুগার: খাবার খাওয়ার সতর্ক না হলে ৪০ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ভুল নিয়মে খাবার খেলে তা ওজন বাড়ায় এবং অগ্ন্যাশয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা সহজেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখলে এটি ডায়াবেটিসকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা হার্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে ডায়েট পরিবর্তন করে এবং কিছু ওষুধ খেয়ে তা কমানো যেতে পারে। ৩০ বছর বয়সের পর প্রতি পাঁচ বছরে নারীর কোলেস্টেরল স্তর চেক করানো উচিত বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
নিউজ২৪.কম / ডেস্ক / রূপা