The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:- শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন বর্তমানে যেন এক সামাজিক ব্যাধি। নিজেদের সন্তানকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। শুধুমাত্র কন্যা সন্তান নয়, পুত্র সন্তানও যৌন নির্যাতনের শিকার হতে পারে। তাই শিশুকে এই বিষয়ে আগে থেকেই পরিচিত করাতে হবে। তাকে ভাল স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শের পার্থক্য বোঝাতে হবে।
আপনার শিশুর ভরসা হন
এটাই সবার প্রথম প্রয়োজন। আপনার শিশুর ভরসার জায়গায় আপনি থাকুন। যাতে সে সহজেই আপনাকে তার খারাপ লাগার কথা এসে বলতে পারে। ভাল স্পর্শ ও খারাপ, যে-কোনও রকম স্পর্শের ভাল লাগা বা খারাপ লাগাটুকু শিশু যেন আপনার সঙ্গে শেয়ার করে সে বিষয়ে নিশ্চিত হন। শিশুকে বোঝান, আপনি ওর ভরসা, বিশ্বাসের জায়গা। তাই যে কোনও মনখারাপ, খারাপ লাগা সে যেন কোনও কিছু না ভেবে আপনাকে বলতে পারে। শিশুকে বিশ্বাস করুন।
খেলাচ্ছলে শিক্ষা দিন
ভাল স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শ ব্যাপারটি এতটাই স্পর্শকাতর যেটা ছোট থেকে বোঝানো একটু জটিল। সেই জন্য আপনার শিশু যখন তার প্রিয় কাজ করছে তখন তাকে কাছে টেনে গল্প করার ছলে ওকে বোঝান।জড়িয়ে ধরে প্রশ্ন করতে পারেন তার কেমন লাগছে? এবার বলুন যে এটা হলো ভাল স্পর্শ। আর তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অস্বস্তিকর ভাবে কেউ জড়িয়ে ধরলে সেটা খারাপ স্পর্শ। কেউ ঘাড়ে পিঠে বা মাথায় অথবা মুখের অংশে ছুঁলে তাও খারাপ স্পর্শ হিসেবে পরিগণিত হবে।
গোপনাঙ্গ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নির্মাণ
শিশুকে পাঁচ বছর বয়স থেকেই তার গোপন অঙ্গ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিন। যে অঙ্গগুলির দ্বারা তারা শৌচকর্ম করে এবং যা প্রকাশ্যে উন্মোচিত হয় না সেগুলোই প্রাইভেট পার্টস এভাবে বোঝান। তার অমতে বা জোর করে কেউ এগুলো স্পর্শ করতে পারেনা সেটাও বোঝান ভালো করে।
শিশুর অভিযোগ শুনুন
হয়তো আপনার শিশু এসে আপনাকে জানালো যে ক্লাসে স্যার তাকে অবাঞ্ছিত ভাবে স্পর্শ করেছে। সেটা হাল্কা ভাবে নিয়ে উড়িয়ে দেবেন না।
তার অভিযোগ মন দিয়ে শুনুন ও তার অনুভূতির কদর দিন। সব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিন।তাই এসব নিয়ে তার কনফিউশন দূর করুন সহজভাবে বোঝান। গম্ভীর হয়ে থাকবেন না ও বাচ্চাদের মারধর বা বকাঝকা একদম নয়।
চিৎকার করতে শেখান
শিশুকে অবহিত করুন যেকোন টাচ যখন তার মনে ভয়ের বা অস্বস্তির জন্ম দেবে সে যেন চিৎকার করে ওঠে। এর মাধ্যমে অপরিচিত ব্যক্তির আচরণ থেকে সে সুরক্ষিত থাকবে ও সেই মানুষ ও সাবধান হয়ে এরকম কুরুচিপূর্ণ কাজ করতে দুবার ভাববে।
ভাল স্পর্শের গুরুত্ব
বাচ্চাকে বোঝান যে সব টাচই খারাপ নয়। অনেকসময় বড়রা ভালোবেসে তাদের কোলে নেন বা ডাক্তারবাবু অসুস্থ হলে পরীক্ষা করেন শরীরে হাত দিয়ে এগুলো ভাল স্পর্শ।
নিউজ২৪.ওয়েব / ডেস্ক /ব্রিজ