The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:– অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেডের সেজান জুস কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়েছে।
বেতন নিতে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই কারখানার সামনে ভিড় করতে থাকেন হাজারও শ্রমিক। দুপুরের পর শ্রমিকদের জুন মাসের বেতন দেওয়া শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। যেসব শ্রমিকরা মঙ্গলবার বেতন নিতে পারেননি তাদের বুধবার সকালে পরিশোধ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে আগুন থেকে বাঁচতে ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন কারখানার প্রোডাকশন সুপারভাইজার আশরাফুল ইসলাম। বর্তমানে কোমর ও পিঠে ভাঙা অবস্থায় তিনিসহ ছয়জন রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, আগামী ২১ জুলাই ঈদ উদযাপন হবে, তবে আমাকে হাসপাতালে থাকতে হবে। আমার কোমর পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা। চিকিৎসকরা দুই মাস বিছানায় শুয়ে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। এখন আমার পরিবারের খরচ কে বহন করবে। এখন আমার চিকিৎসা খরচ কে দেবে?
কারখানার শ্রমিক মফিজুল ইসলাম ও সাইদ মিয়া বলেন, সাড়ে তিন বছর ধরে জুস তৈরির শাখার কাজ করছি। এখন কারখানায় কোনো কাজ হচ্ছে না। যদি কারখানা আবার কার্যক্রম শুরু না করে আমরা কীভাবে আমাদের পরিবার নিয়ে বাঁচব? বাড়িভাড়া ও দোকান বাকি কীভাবে পরিশোধ করব। তাছাড়া গ্রামে থাকা আমার বাড়ির সদস্যরাও আমার কাছ থেকে টাকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরা কি এবার তাহলে অনাহারে মারা যাব- এমন প্রশ্ন মফিজুলের মতো অনেকের।
হাসেম ফুড লিমিটেডের সিনিয়র ব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন) এফএমএ মুরাদ বলেন, মঙ্গলবার থেকে বেতন দেওয়া আরম্ভ করেছি। কর্তৃপক্ষ জুন মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার যারা বেতন নিতে পারেনি তাদের বুধবার সকালে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওভারটাইম এবং শুক্রবার ঈদ বোনাস দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আহত শ্রমিকরা আসতে না পারলে তাদের পরিচয়পত্র দিয়ে স্বজনরা বেতন নিতে পারবেন। যারা পরিচয়পত্র হারিয়েছেন বা পুড়ে গেছে, তাদের আইডি নাম্বার বললে বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মধ্যেই বেতন পরিশোধের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সড়কে যানজটের কারণে অনেক শ্রমিক আসতে পারে নাই। তারপরও কোনো শ্রমিক যদি বেতন না পেয়ে থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তার বেতন পরিশোধ করে দিব।
এ বিষয়ে কারখানার ম্যানেজার নাহিদ মুরাদ বলেন, এখন মালিকসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তারা কারাগারে আছেন। আমাদের মালিক কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতদের পরিবার ও আহতদের সহায়তা করবেন। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি কারখানাটি কীভাবে পুনরায় চালু করা যায়। বেতন পরিশোধের পর কারখানা চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সময় লাগবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
নিউজ২৪.ওয়েব / ডেস্ক / রূপা