সুভাষ সাহা : একের পর এক সমঝোতা বৈঠক,মামলা- মোকদ্দমা কোনকিছুতেই সমস্যার কুল-কিনারা হচ্ছিল না! নানা কূটকৌশলেই ‘রহমতুল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট ভবনটি’ দখলে রাখার পথে হাঁটছিল সুবিধাভোগীরা! শেষপর্যন্ত আপোষহীন মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীরই জয় হল।

অবর্ণনীয় বাঁধা বিপত্তি মোকাবেলা করে প্রায় চার দশক পর ২০ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার সকালে নাসিক এর উচ্ছেদ কর্মীরা বিনা বাঁধায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নং রেলগেট সংলগ্ন রহমতুল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট ভবনটি গুড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।
সুদীর্ঘ কাল ধরে শহরের প্রাণকেন্দ্রে চার মাথায় নগরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তিনতলা এ ভবনটি।
ট্রাফিক জ্যামের অন্যতম কারণ ‘রহমতউল্লা মুসলিম ইন্সটিটিউট ভবনটি’ ভেঙ্গে ফেলার কাজ শেষ হলে বদলে যাবে চতুর্মুখী এই এলাকার নিত্যদিনের দৃশ্যপট,আশা নগরবাসীর।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার নবনির্মিত জিমখানা লেকপারের স্থায়ী উন্মুক্ত মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘জনতার মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী ঘোষণা দিয়েছিলেন, “এক মাসের মধ্যে অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ‘রহমতউল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট ভবনটি’ ভেঙ্গে দেবো। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবৈধ এ ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না।”
মেয়র অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন পৌরসভার মাধ্যমে রাজউক পাশেই ২৪ শতাংশ জায়গার উপর একটি বহুতল ভবন ‘রহমতউল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউটের জন্য নির্মাণ করে দিয়েছে। তাঁরা সেখানে যাচ্ছেন না। বহুদিন ধরে অনুরোধ করে আসলেও আমার কথার কর্ণপাত করছেন না।

আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে আলী আহমেদ চুনকা সিটি পাঠাগার ও মিলনায়তনের পাশের ‘বিনোদন সুপার মার্কেট ও বিএনপি অফিস ভেঙ্গে দিয়েছি। সেখানে নতুন প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে। জনগণের স্বার্থে সকল অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারের সংকল্প নিয়েছি। এরই ধারাবাহিতায় আগামী এক মাসের মধ্যে রহমতউল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট ভবন ভেঙ্গে দেব”।
তবে,ঘোষণা অনুযায়ী ১ মাসে তা সম্ভব না হলেও হাল ছাড়েননি মেয়র আইভী।
অবশেষে ৫ মাস অপেক্ষার পর ২০ জুন ২০১৯ এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণটি!
নিউজ24 ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়
One Comment
মেয়র আইভি রহমানকে, অন্তরিক অভিনন্দন জানাই।