Get the Latest News & Videos from News24 > অপরাধ ও দুর্নীতি > নবীনগরে আ’ লীগের অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সাংসদ মুক্তাদিরের বলিষ্ঠ ভূমিকা ।

অনলাইন ডেস্ক:-  নবীনগরে আ’ লীগের অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে!ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সাংসদ মুক্তাদিরের বলিষ্ঠ ভূমিকা ।। 
প্রশ্ন উঠেছে নবীনগরে হেফাজতের পৃষ্ঠপোষক কে? সাধারণ মানুষের অভিযোগ,আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতাদের প্রশ্রয়ে আশ্রয়ে নবীনগরেও হেফাজত এখন মোটাতাজা!অশুভ শক্তির দাপটে নবীনগরের সুস্থ্য রাজনীতি নির্বাসনে!কোন কোন জায়গায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ মুজিবকোট পড়া গুটিকয়েক কথিত ‘রাজনৈতিক ব্যবসায়ীর’ শেকলে বাঁধা! 
বীর শ্রেষ্ঠ,বীর বিক্রম,বীরমুক্তিযোদ্ধাদের পুন্যভূমি গৌরবময় নবীনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ এখন আইসিইউতে! নবীনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হওয়ার কারণ খোঁজতে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য। 
ম্যাসেঞ্জার ইনবক্সে,হোয়াটসঅ্যাপ ওফেসবুকে এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। 


সমালোচকদের অভিযোগ,ঘরের শত্রু বিভীষণ! আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ! নমিনেশন বাগাতে নৈতিকতা বিসর্জন,পদ বগাতে তেলমর্দন,দাপট দেখাতে পেশিশক্তির আশ্রয়,হেফাজত ও জামাতের সঙ্গে আঁতাত ইত্যাদি কারণে নবীনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ আজ চরম সংকটে।গত দুই দশক ধরে হেফাজতীদের অনুকূলে অঘোষিত রাজনৈতিক ছাড়ের কারণে প্রশাসন এ্যাকশানে যাবে কী যাবেনা এ নিয়ে ধন্দে বা সিদ্ধান্তহীনতার গোলকধাঁধায় হেফাজতের যে এই বাড়বাড়ন্ত বলা বাহুল্য! এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা,চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডব লীলার খেসারত দিচ্ছে জাতি। তবে,আশার কথা,গত প্রায় দুই দশক পর এই প্রথম ব্রাহ্মণবারিয়ার সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল  মুক্তাদির চৌধুরীকে ‘ভয়ংকর হয়ে উঠা’ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে দেখা যায়।  উল্লেখ্য,সাংসদ ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে হেফাজতের সহিংসতার বিরুদ্ধে গত ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করার পরদিন ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা মুক্তাদির চৌধুরীর গড়া ইউনিভারসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রেসক্লাব,পৌরসভার অফিস,জেলা পরিষদ অফিস,উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীত একাডেমি, রেলস্টেশন ও কালীমন্দিরসহ বহু মূল্যবান স্থাপনা অগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে উন্মত্ত হেফাজত সমর্থকরা।


“প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ”মুক্তিযোদ্ধা এমপি মুক্তাদির সোমবার সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতিদের নৃশংসতার জন্য প্রশাসনের গাফিলতি ও আস্কারাকে দায়ী করেছেন।
দেয়ালে পিঠ ঠেকার পর হেফাজতের সহিংসতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীর সাহসী ভূমিকা প্রশংসিত হলেও নবীনগরে আওয়ামী লীগের সাংসদ ও পদপদবীধারী নেতাদের অদ্ভুত নীরবতায় অনেকে সমালোচনায় সোচ্চার।আওয়ামী লীগের ঘাটি নবীনগরে আওয়ামী রাজনীতির  বেহাল চিত্র দেখে সবাই বিস্মিত,অবাক!
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উৎসব চলাকালে অপশক্তির আগ্রাসনে দেশ যখন উত্তাল,শিক্ষা ও সংস্কৃতির চারণভূমি  নবীনগর তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ! 


অভিযোগ আছে,আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী হাইব্রিড নেতাকর্মীরা ব্যবসা বানিজ্য ও নিজেদের ভাগ্যান্বেষণ নিয়ে বিভোর থাকায় রাজনীতি ও মুজিবকোট এখন তাঁদের কাছে ফ্যাশান! 
অতি সম্প্রতি হেফাজতীদের নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বিরোধী হিংসাত্মক আন্দোলনের সময়ও নবীনগরে আওয়ামী লীগ ছিল বিকারহীন বধির।

একটি সূত্র জানায়,সংসদ সদস্যের সুস্পষ্ট  দিকনির্দেশনার অভাবেই নাকি নেতাকর্মীরা হাতপা গুটিয়ে রাখেন! স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকালে গত দশদিনেও নবীনগরে মুজিব জন্মজয়ন্তীর উল্লেখযোগ্য কোন কর্মসূচী নজর কাড়েনি।আওয়ামী লীগ অন্তপ্রাণ কর্মী সমর্থকরা এ ব্যাপারে হতাশ।


সর্বশেষ, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকায় আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা,চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতীদের নজিরবিহীন তাণ্ডবের পরও নবীনগরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ন্যুনতম প্রতিবাদ কর্মসূচী না থাকায় অনেকেই বাকরুদ্ধ!এমন না যে,সংসদ সদস্য সদলবলে মাঝে মধ্যে নানা অজুহাতে এলাকায় আসেননা? বা শোডাউন করেন না?সামাজিক বিচার-আচার,বিয়েশাদির দাওয়াত,স্কুল-কলেজের ছোটখাটো অনুষ্ঠানেও ডাকসাইটের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাংসদের সরব উপস্থিতি প্রায়ই চোখে পড়ে। 
সম্প্রতি আর এনটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল আমিনকে চড়থাপ্পড় ও মারধরের ঘটনার চারদিনের মাথায় ২০ মার্চ সালিশ মিমাংসার উদ্দেশ্যে সদলবলে ইউএনও কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে করমর্দন করিয়ে গলাগলি করিয়ে দেন।


কিন্তু স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনকালে হেফাজতের তাণ্ডবের বিরুদ্ধেমহারথিদের নেতৃত্বে নবীনগরে রহস্যময় কারণে  রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের সময় হয় নি! ভয়টা সেখানেই।।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরেজমিনে ঘুরে অনলাইন একটিভিস্ট জাহাঙ্গীর আলম জানান,হেফাজতী তান্ডবে লণ্ডভণ্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তাদের হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতবিক্ষত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উল্লেখযোগ্য কিছু স্থাপনা….  
* বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি* শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বর* ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন* আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চ* জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার* কালীবাড়ি মন্দিরের প্রতিমা* ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব* জেলা পরিষদ ভবন* পুলিশ সুপারের কার্যালয়* জেলা পুলিশ লাইন* সার্কিট হাউস* ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়* সদর উপজেলা ভূমি অফিস* সিভিল সার্জনের কার্যালয়* মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়* ডিসির বাসভবন* এসপির বাসভবন* জেলা জজের বাসভবন* সরাইলে হাইওয়ে থানা* সদরের খাঁটিহাতা থানা* রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি* সদর থানাধীন দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি* জেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়* ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়* জেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলা* জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স*  ব্যাংক এশিয়া* ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন* ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস* শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয়* মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র* দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়* প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর হামলা* জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়* জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল   মামুন সরকারের কার্যালয় ও বাড়ি* জেলা আওয়ামীগ নেতা ও আয়কর উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার কার্যালয়* জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেলের বাড়ি* জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের বাড়ি* বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা মুকাই আলীর শহরের হালদারপাড়ার বাসভবন* জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম খোকনের বাড়ি সহ অনেকের বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর লোটপাট ও অগ্নিসংযোগ।

নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/ সুভাষ সাহা 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *