The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:- দুপুরে খাবার পর ক্লান্তিভাব বা ঘুমের অনুভূতি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু খাওয়ার পর ঘুম কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করার পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব একটা ভাল নয়। তবে এই সব সমস্যা এড়াতে খাবার এড়িয়ে চলা একেবারেই উচিত নয়, তাহলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। সময় মত খাবার না খাওয়া হলে তা শরীরের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর।
তাই দুপুরে খাওয়ার পর ক্লান্তি বা ঘুম ঘুম ভাব কাটিয়ে উঠতে এনার্জি বাড়াতে নিম্নলিখিত টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন।
খাওয়ার পর একটু হাঁটুন
খাওয়ার পরেই কাজে না বসে, একটু হাঁটাচলা করুন। চাইলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামাও করতে পারেন। হালকা পরিশ্রম, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং এনার্জি বাড়াতেও অত্যন্ত সহায়ক।
চুইংগাম চিবাতে পারেন
গবেষণায় দেখা গেছে যে, চুইংগাম ক্লান্তি দূর করতে পারে। তাছাড়া চুইংগাম সতর্কতা বৃদ্ধি করে এবং এনার্জি বাড়াতে সহায়তা করে। লাঞ্চের পর মিন্ট চুইংগাম অন্তত পাঁচ মিনিট চিবোলেই ঘুম ঘুম ভাব বা ক্লান্তিভাব কেটে যাবে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
ডিহাইড্রেশনের ফলে ক্লান্তিভাব, খিটখিটে মেজাজ এবং অমনোযোগিতা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে, সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। তাই যতটা পারবেন পানি ও তরল জাতীয় খাদ্য খাওয়ার চেষ্টা করুন।
খাওয়ার সঠিক সময়
কী খাচ্ছেন কেবল সেটাই দেখার বিষয় নয়, পাশাপাশি কোন সময়ে খাচ্ছেন, সেদিকে নজর দেওয়াও অত্যন্ত জরুরি। দেরি করে দুপুরের খাবার খাওয়া হলে অতি ক্লান্তিভাবের সাথে সাথে ঘুমের অনুভূতিও বেশি হয়। তাই দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বিপজ্জনক
দুপুরে কখনোই অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। দুপুরে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হলে তা হজম করতে শরীরকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি খরচ করতে হয়। যার ফলে শরীরে ক্লান্তি বোধও বৃদ্ধি পায়। তাই দুপুরে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
সুগার গ্রহণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন
দুপুরে খাবার সময় প্রসেসড সুগার এবং ফ্যাট জাতীয় খাদ্য খুবই কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। সুগার কিছুটা সময় এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করতে পারে, তবে কিছুক্ষণ পর থেকে অত্যাধিক ক্লান্তি বোধ হতে পারে। তাই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে দুপুরে খাওয়ার পরে ফল খাওয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
প্রসেসড ফুডের রিফাইন্ড গ্রেইন দ্রুত হজম হয়, যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং এনার্জির মাত্রা কমে। তাই এমন খাবার খান যাতে এনার্জি বৃদ্ধি হয়, যেমন – আয়রন সমৃদ্ধ খাবার (শাকসবজি), লিন প্রোটিন (লিন মিট, মাছ, ডিম) এবং গোটা শস্য জাতীয় খাবার বেছে নিতে পারেন।
দুপুরের খাবারে আয়রন, প্রোটিন এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। আয়রন হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়াবে, যা এনার্জির জন্য সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করে। কার্বোহাইড্রেট শরীরের বিভিন্ন অংশে গ্লুকোজ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে, যা শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেলে দুপুরে কম অলস বা ক্লান্তিবোধ হবে।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/আয়েশা