The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:– কেরানীগঞ্জে ৯ মাসের শিশু আবরারকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় মামলা হলেও টাকা খেয়ে আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এমন অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী আবরারের দাদি আয়শা আক্তার।
তিনি বলেন, আসামি ধরার কথা বললে পুলিশ বলে- মামলা করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত করছো, মামলা হইছে। যাও এখন মামলার কাগজ ধুইয়া পানি খাও। বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদকের কাছে এমন অভিযোগ করেন আয়শা আক্তার।
গত ২১ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর কলাকান্দি নানার বাড়ির ছাদের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয় শিশু আবরার। পরদিন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিশুটির দাদি বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় শিশুটির মা সুপ্তি আক্তার ও খালা যুথি আক্তারকে আসামি করে মামলা করেন।
আবরারের বাবার নাম পারভেজ আহমেদ। তিনি ৮ মাস ধরে কাতার প্রবাসী।
পারভেজের পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে সুপ্তির বনিবনা হচ্ছিল না। পারভেজ বিদেশ চলে যাওয়ায় সুপ্তি আবরারকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে সুপ্তি আক্তার তাদের জানান- পারভেজের সঙ্গে সে আর সংসার করবে না।
আয়শা আক্তার অভিযোগ করেন, নিজের শিশুসন্তানকে পথের কাঁটা ভেবে বড় বোন যুথির সহযোগিতায় ছাদ থেকে ফেলে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে প্রথমে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আইজিপির কাছে দরখাস্ত করার পর পুলিশ মামলা নেয়। তবে হত্যা মামলা না নিয়ে ‘অবহেলার ফলে মৃত্যু ঘটানোর অপরাধ’ এ মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু মামলা হওয়ার পরও পুলিশ নানা টালবাহানা করতে থাকে। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এমনকি এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে, সেটাও মানছে না পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সজিব চন্দ্র জানান, বাদীর অভিযোগ সঠিক না। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
নিউজ২৪.ওয়েব /ডেস্ক / রূপা