The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
নিজস্ব প্রতিবেদন: শাহেদ তুমি কার? এখন কেউ নেই তার! সবাই মুখ লুকিয়েছে গর্তে! রহস্য ফাঁসের আশঙ্কায় এখন নাটের গুরুদের ঘুম হারাম! এদিকে হাওয়া ভবনের সাবেক ‘চাপরাশি’ ‘শাহেদ কাণ্ডে’ অস্বস্তিতে আওয়ামীলীগ! গত ২৪ ঘন্টায় প্রতারক শাহেদের বিরুদ্ধে আরো ২০ মামলা যোগ হয়ে ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার পর্যন্ত মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ এর কোঠায়।
কেঁচো খুঁড়তে সাপ! মুজিব কোট সরালেই বেরিয়ে আসে অনুপ্রবেশকারী বিএনপি প্রোডাক্ট! অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতাদের। সুযোগ সন্ধানীরা সুকৌশলে আওয়ামী লীগের মাথায় কাঠাল রেখে নিরাপদে কোষ খেয়ে যাচ্ছেন।
হালে ফরিদপুরের অপরাধ জগতের মাফিয়া দুই ভাই ‘রুবেল-বরকত’ও বিএনপি প্রডাক্ট অনুপ্রবেশকারী বিএনপি প্রডাক্ট! ঢাকার কেসিনো কেলেঙ্কারির দুধর্ষ নায়ক জেকে শামিম-সম্রাটগং। পাঁচতারকা হোটেল ওয়েস্টিন কেলেঙ্কারির মক্ষীরানী পাপিয়া!
এরা সবাই অনুপ্রবেশকারী বিএনপি প্রডাক্ট অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতাদের।
বিএনপি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব অপপ্রচার। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, অনুপ্রবেশকারী বলে আওয়ামী লীগের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। এজন্য আওয়ামী লীগ ই দায়ী।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫৫ মামলার আসামী—ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে সিদ্ধহস্ত রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ধুর্ত প্রতারক শাহেদ। সবাইকে ছাপিয়ে সেরার উপর সেরা বিশ্ববাটপার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ধুরন্ধর এই শাহেদ কিসসা এখন টপ অব দি কান্ট্রি।
অসমর্থিত সূত্রমতে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত এসএসসি পাস অর্ধশিক্ষিত এই প্রতারক মোহাম্মদ শাহেদ হাওয়া ভবনের প্রডাক্ট তারেক-গিয়াসউদ্দিন আল্ মামুনের ‘চাপরাশি’ উচ্ছিষ্টভোগী ধুর্ত শাহেদ পট পরিবর্তনের পর বিবেক বিবর্জিত কতিপয় মিডিয়া মালিক, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতার হাত ধরে ভয়ংকর দানবে পরিণত হয়েছেন।
প্রেসটিজিয়াস এসডিজি বিষয়ক উপ- কমিটির সদস্য পরিচয়ে রাতারাতি মস্ত জ্ঞানী সেজে টিভি টকশোতেও জায়গা করে নেন হাওয়া ভবনের প্রডাক্ট প্রশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত এই প্রতারক।
এরপর তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। শুধুই রকেট গতিতে এগিয়ে যাওয়া আর যাওয়া। ‘জিরো থেকে হিরো। সুনির্দিষ্ট ছকে অতি সন্তর্পনে ডালপালা বেয়ে সোজা গণভবনে।
কী করে সম্ভব? এ প্রশ্নের বিশ্বাসযোগ্য কোন উত্তর নেই ! দৈনিক পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বের করে নিজের পরিচয়ের সাথে সম্পাদক তকমা লাগানো। টিভি কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ‘সাজানো টকশোতে’ বসে মুখস্ত বুলি আউড়িয়ে ‘বুদ্ধিজীবী তকমাও বাগিয়ে নেয়া।
একই ছকে বাঁধা এসব তৎপরতার পেছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে একমাত্র নিবিড় তদন্তেই বের হয়ে আসতে পারে! চ্যানেল আইয়ে জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় তৃতীয় মাত্রার একটি কথিত টকশোর একপাশে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাসাসের নেতা, বিপরীতে সাবেক হাওয়া ভবনের নব্য আওয়ামী লীগার বিশ্ব বাটপার শাহেদ।
তাদের বক্তব্যের বিষয়বস্তু, বডিলেঙ্গয়েজই বলে দেয় এটি কোন মানেই টকশোর মধ্যে পড়েনা। মানুষকে ধোঁকা দেয়ার নামান্তর মাত্র।
নিজেকে সস্তা প্রচারের অংশ হিসেবে রাষ্ট্র যন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের সঙ্গে নানা ভঙ্গির ছবি তুলে বাজারে ছাড়েন এই ধুর্ত শাহেদ। রাষ্ট্রপতি থেকে সেনাপতি, কে নেই ছবির তালিকায়?
বহুরূপী শাহেদের বিশেষ যোগ্যতা বলতে – ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয়ের তালিকা ভুক্ত প্রতারক,ক্ষেত্রবিশেষে
মেজর,লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইত্যাদি…পরিচয়ে প্রভাব খাটানোর দক্ষতা।
(৫৫) টি মামলার আসামী। ভুয়া কোম্পানি খুলে জনসাধারণের কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় দুই বছর জেল খাটার সনদ। এতো এতো গুরুতর অভিযোগের পাহাড়,এমন একজন দাগী অপরাধীর প্রেমে এতো এতো নামি-দামি মানুষের হাবুডুবু’র মাহাত্ম্য বুঝার অক্ষমতা প্রকাশ করেন অনেক বোদ্ধা।
তার আস্তানায় র্যাবের অভিযানের পর গত কয়েকদিনে আরো তিনটি মামলা যোগ হয়ে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫। এর একটি সিলেটের এক বালু ব্যবসায়ীর ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত মামলা।
এরূপ হাই প্রোফাইল একজন অপরাধী শাহেদ পুলিশী প্রটোকল ও ৪ বডিগার্ড নিয়ে ওয়াকিটকি হাতে গাড়িতে চষে বেড়াতেন!
কোন অদৃশ্য শক্তির যাদুবিদ্যার মহিমায়, কাদের আস্কারায় এই বিপজ্জনক লোকটি মন্ত্রী, এমপি, আমলা, বুদ্ধিজীবি ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ সরকারের একেবারে শীর্ষপর্যায়ের সাহচর্য পেয়েছেন, বিকশিত হয়েছেন এগুলো অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে!
২০০৯ সালে প্রথম আলোতে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ছিলঃ ‘আসামী শাহেদ করিম আটক’ চেকের মাধ্যমে মালামাল কিনে অভিনব কায়দায় প্রতারণা’
অভিযোগে জানা গেছে, প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মালিক মরহুম লতিফুর রহমান চৌধুরীর মালিকানাথীন ট্রান্সকম লিঃ এর কাছ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার এসি ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক জিনিস কিনে ফলস চেক প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার হন।।
গত ৭ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের আকস্মিক অভিযানে কেচু খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে শুরু করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমতি পেয়ে করোনা টেস্টের নামে ভুয়া রিপোর্ট বানিজ্যের তথ্য প্রমান পাওয়ার পর শাহেদকে প্রধান আসামী করে রিজেন্ট হাসপাতালের ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব।
উদ্ভুত অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে আছেন দেশের ইনোসেন্ট অনেক রাজনৈতিক নেতা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রী, আমলা, বুদ্ধিজীবি। তার বিরুদ্ধে পাওনাদারদের হাসপাতালের টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগের খবরও বেরিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ায়।
মিরপুরের তার হাসপাতালের ভবন মালিক ৪০ লাখ টাকা বকেয়া ভাড়া আদায় করতে না পেরে থানায় জিডি করেছেন।
স্ত্রী সাদিয়া নাকি শাহেদের প্রতারণার কোন খবরই জানতেন না!
ইতোপূর্বে করোনা পরীক্ষার জাল সনদ বানিজ্যের অভিযোগে জেকেজি গ্রুপের প্রতারক দম্পতির বিরুদ্ধে মামলার পর জেকেজি গ্রুপের এমডি এডিকটেড আরিফ চৌধুরী গত ২৪ জুন গ্রেফতার হয়ে তেজগাঁও থানা হাযতে ইয়াবার জন্য মাটিতে গড়াগড়ি করে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের ডাক্তার বহুল আলোচিত সাবরিনা চৌধুরী পলাতক।
এই দম্পতির বিরুদ্ধে ১৫৫০০ করোনা পরীক্ষার জাল সনদ বিক্রী করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের দালিলিক প্রমান পাওয়া গেছে।
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন উর রশীদ বহুল আলোচিত প্রতারক রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহম্মদ শাহেদের ক্রস ফায়ার দাবী করেন।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠে। এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেএম আবু হাসনাত পাপ্পু লিখেন, “পাক হায়নাদের থেকে ছিনিয়ে আনা মানচিত্র কোট পরা বাটপাররা চিবিয়ে খাচ্ছে কী নির্মমভাবে”এসব আর সহ্য হয়না।
আরেকজন অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট বিশ্ব প্রতারক শাহেদের সিনেম্যাটিক পক্রিয়ায় শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়ে লিখেন,
৪০ এর দশকে ইরানের শাসক ‘রেজা খান’এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ‘রিজেন্ট দানব’ শাহেদকে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের ছাদের কিনারে নিয়ে নিচে তাকিয়ে ১-২-৩ বলে মাটিতে লাফ দিতে নির্দেশ দিন, ৪ গুনার আগে লাফ না দিলে ফায়ার করার দৃশ্যটি ভিডিও ক্যামেরায় ধারন করে ছড়িয়ে দিন! মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এভাবে অন্তত ১০ মানুষরূপী দানবের ‘ফায়ার প্লান’ মঞ্চস্থ করুন। দেশকে বাঁচান, দেশের মানুষ বাঁচান।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস