The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
মোঃ সাইদুল ইসলাম: ঝালকাঠির রাজাপুরে বিশ্বস্থ এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ইসলামিয়া ফার্মেসী ও সোহাগ ক্লিনিক। দীর্ঘ এক যুগ ধরে স্বল্প মূল্যে ও গরীব অসহায়দের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন এ প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি এই মহামারী করোনা ভাইরাসে খেটে খাওয়া মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়েছেন ঠিক সেই সময় রাজাপুরে ইসলামিয়া ফার্মেসী ও সোহাগ ক্লিনিকের পক্ষ থেকে সাধারন মানুষকে চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে গত ২৪ মে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঔষধে বিশেষ মূল্যছাড় ও অপারেশনে ১০% ছাড়ের ঘোষনা দেন।
কিন্তু উপজেলার অসহায় মানুষের জন্য সহযোগিতার ঘোষনাই কাল হয়ে ধারালো প্রতিষ্ঠিত এ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানটির। উক্ত ছাড়ের ঘোষনার পর থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী সমিতি নামে পরিচিত রাজাপুর ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত ও হয়রানী শুরু করেন এবং ঔষধ কোম্পানিকে চাপ ও হুমকি দিয়ে ইসলামিয়া ফার্মেসী ও সোহাগ ক্লিনিকে ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামগঞ্জ থেকে স্বল্প মূল্যে কিনতে আসা গরীব ও অসহায় রোগীদের।
বিজ্ঞাপনটি দেখতে ক্লিক করুন
ঔষধ না দেওয়ার বিষয়ে স্কয়ার কোম্পানির রাজাপুরের এমপিও নিজাম হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঔষধ ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠন আছে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। রাজাপুর কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি বরিশাল বিভাগীয় কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির মাধ্যমে কোম্পানিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে ইসলামিয়া ফার্মেসীতে ও সোহাগ ক্লিনিকে ঔষধ দেওয়া হলে তারা টোটাল স্কয়ার কোম্পানির সাথে ব্যবসা বন্ধ করে দিবে। এটা শুধু স্কয়ারের জন্য না এটা সকল ঔষধ কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। তাই বরিশাল অফিস থেকে আমাকে ঔষধ দিতে নিষেধ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইনসেপ্টা ঔষধ কোম্পানির এমপিও আলিম বলেন, বর্তমানে ইসলামিয়া ফার্মেসীতে ও সোহাগ ক্লিনিকে ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অফিস থেকে আমাকে ঔষধ দিতে বন্ধ করতে বলেছে তাই আমি ঔষধ দেওয়া বন্ধ করেছি। এবিষয়ে কিছু জানার থাকলে অফিসে যোগাযোগ করুন।
এ বিষয়ে বেক্সিমকো ঔষুধ কোম্পানির এমপিও অলিউল্লাহ বলেন, ইসলামিয়া ফার্মেসীতে ও সোহাগ ক্লিনিকে ঔষুধ দেওয়া বন্ধ আছে এক মাসের উপরে। বরিশাল বিভাগীয় কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির থেকে আমাদের বরিশাল অফিসকে ইসলামিয়া ফার্মেসীতে ও সোহাগ ক্লিনিকে ঔষুধ দেওয়ার জন্য নিষেধ করেছেন। বরিশাল অফিস থেকে আমাকে ইসলামিয়া ফার্মেসীতে ও সোহাগ ক্লিনিকে ঔষধ দিতে নিষেধ করেছে তাই আমি ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রেখেছি।
ইসলামিয়া ফার্মেসী ও সোহাগ ক্লিনিক পরিচালক মোঃ আহসান হাবিব সোহাগ জানান, করোনা ভাইরাসে মানুষের অর্থ নৈতিক সংকট দেখা দিলে মানুষকে সহযোগিতা করার লক্ষে আমার প্রতিষ্ঠান থেকে ঔষধে বিশেষ মুল্যছাড় ও অপারেশনে ১০% মুল্যছাড় দেবার ঘোষণা দেই। উক্ত ছাড়দেবার ঘোষণার পর থেকেই রাজাপুরের কিছু অসাধু ঔষধ ব্যাবসায়ী আমার সেবা কার্য বন্ধ করতে আমার দোকানে হামলা করে উল্টো আমি সহ আমার প্রতিষ্ঠানের ৮জন কর্মচারীর নামে ২ টি মিথ্যা মামলা করে এবং ঔষধ কম্পানির লোকদের ইসলামিয়া ফার্মেসী ও সোহাগ ক্লিনিকে ঔষধ দিতে নিষেধ করে এবং বলে ওখানে ঔষধ দিলে রাজাপুরের অন্য ঔষধ বিক্রিতা কেহই ঔষধ রাখবনা, আর রাজাপুরে চাকুরি করতে দিবনা।
এমনকি অনেক কোম্পানির ছেলে পানকে হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে ঔষধ সিন্ডিকেট বাহিনী, আমি জনগনের সেবা করতে ও মিথ্যা মামলা দুটি প্রত্যাহারসহ ঔষধ সরবরাহের জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস