The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: নরসিংদীর জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার হওয়া শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে র্যাব। বাকি তিন মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।
পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে তাঁরা পাপিয়াকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছেন না। সে কারণে মামলা আটকে আছে। দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের অনেক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তদন্তকাজ এগোচ্ছে না।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারিতে শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে র্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এরপর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি, অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীদের মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। ধরা পড়ার পর পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেপ্তার পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীরা কারাগারে আছেন।
পাপিয়া, তাঁর স্বামী ও তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে হওয়া অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের তিন মামলা প্রথমে তদন্ত করছে র্যাব-১। জানতে চাইলে র্যাব-১-এর পরিচালক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এখন পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর আছে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তাঁরা আসামি আনতে পারছেন না। কিছুদিন আগে কারাগার থেকে পাপিয়াকে আনতে গেলে তিনি সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছেন বলে জানান।
এদিকে ৫ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ টাকা অবৈধ আয়ের তথ্য পেয়ে সিআইডি গত ১১ মার্চ পাপিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে। মামলায় পাঁচ তারা হোটেলে দেওয়া ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল, ২০ লাখের বিনিয়োগ, ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট এবং পাপিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকার উল্লেখ করা হয়েছে।
সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীদের রিমান্ডে আনা যায়নি। তবে তাঁর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তথ্য পাওয়া গেলে বিদেশেও তাঁরা যে অর্থ পাচার করেছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দুদকে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে দুদক কর্তৃপক্ষ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে নিরুৎসাহিত করছে। সে কারণে তদন্ত শেষ হতে সময় লাগছে।
সূত্র: প্রথম আলো
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস