The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রবীণ রাজনীতিক এবং গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, দুনিয়ার রঙ বদলে যাচ্ছে। জীবন দিয়ে এভাবে মানুষকে প্রকৃতির কাছে হার মানতে হবে, তা কখনও ভাবিনি। প্রকৃতির এমন বৈরী পরিবেশে মনোবল শক্ত করে বেঁচে আছি। তবে দুঃখ হয় সাধারণের কষ্ট দেখে।
তিনি আজ রোববার (২১ জুন) গণমাধ্যমকে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন।
নিজের কুশল জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি তো আর মানুষের নিয়ন্ত্রণে নেই। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ম করে চলাই উত্তম। বাইরে যাই না একেবারেই। ওষুধ-পথ্য নিয়ম করে চলছে। সময় কাটে পরিবারের আপনজনদের সঙ্গেই। করোনা হয়নি, আপাতত এটিই বড় সান্ত্বনা।’
বিজ্ঞাপনটি দেখতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশের এ সংবিধান প্রণেতা বলেন, ‘রাষ্ট্র চাইলে মানুষকে আরেকটু নিরাপদে রাখতে পারত। প্রচুর সময় পেয়েছিল প্রস্তুতির। তখন আমলে নেয়নি। এখনও নানা অসঙ্গতি। অথচ রোজ মানুষ মরছে, হাজার হাজার আক্রান্ত হচ্ছে। দায় নাগরিকেরও আছে। সচেতনতার প্রশ্নে আমরা একে অপরকে যেভাবে সহায়তা করার কথা, তা করছি না।’
রাজনীতির নয়া বলয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধান কামাল হোসেন বলেন, ‘করোনার শেষ কোথায় কেউ নির্ধারণ করতে পারছে না। এমন পৃথিবী আগে কেউ দেখেনি। মানুষ কত অসহায়! ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি সবই বিপর্যয়ে। সাধারণরা চাকরি হারাচ্ছে। লকডাউন আরও হুমকিতে ফেলে দিচ্ছে জীবন-জীবিকা। সরকার হয়তো পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এভাবে আসলে কতদিন?’
তিনি বলেন, ‘যাদের সঙ্গে কথা বলেছি আগের রাতে, পরের দিন তাদের মৃত্যুর খবর শুনতে হচ্ছে। কত পরিচিত মুখ হারিয়ে গেল। ড. আনিসুজ্জামান, কামাল লোহানী, মোহাম্মদ নাসিমের মতো বন্ধুদের হারাতে হলো। মাঝে মাঝে অসহায় বোধ করছি। এত শোক চারদিকে! আর কত?
সূত্র: জাগোনিউজ২৪
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস