Get the Latest News & Videos from News24 > অপরাধ ও দুর্নীতি > মাদারীপুরে নারী এসআইকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক: মাদারীপুরে কথিত প্রেমিক জাকির ওরফে বাতেন ওরফে রনবীরকে (২৮) সদর মডেল থানার এসআই প্রশিক্ষণকালীন অনিমা বাড়ৈকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার ৪২ দিন পর গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাভারের যাদুরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর থানার পুলিশ।

কথিত প্রেমিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার শিমুলবাড়ী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে নিজের জাকির নাম বাদ দিয়ে বাতেন ও রনবীর নাম ব্যবহার করত অনিমার কাছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান এ সব তথ্য জানান।

মোবাইলে মাদারীপুর শহরের শকুনিলেক পাড়ের দৃশ্য দেখার কথা বলে গত ৫ এপ্রিল রাতে কৌশলে অনিমাকে লেক পাড়ে নিয়ে আসে জাকির। অনিমাকে হত্যা করার জন্য সেখানে আগে থেকেই সে ওঁৎ পেতে ছিল। অনিমা সদর মডেল থানা থেকে ডিউটি শেষে লেকপাড়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে তাকে ধরে গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে জাকির পালিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপনটি দেখতে ক্লিক করুন

এ সময় স্থানীয় লোকজন আহত অনিমাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। রাতেই তার গলায় অপারেশন হয়।

ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার ছোট ভাই কপিল বাড়ৈ মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই সুমন কুমার আইচ বিভিন্ন সময় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে জাকিরের শ্যালক নাইমকে আটক করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়।

অনিমা বাড়ৈর বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার ভাঙ্গারহাট এলাকায়। গত ৪ মাস পূর্বে অনিমা বাড়ৈ মাদারীপুর সদর মডেল থানায় পিএসআই হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে অনিমা বাড়ৈ সুস্থ হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় যোগদান করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন আবদুল হান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ফকির প্রমুখ।

সূত্র: যুগের চিন্তা

নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *