The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: নরসিংদীতে করোনা যুদ্ধ জয়ে সুপার হিরোর ভূমিকা পালন করছেন জেলা পুলিশের সদস্যরা। অব্যাহত রেখেছেন আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ লকডাউন নিশ্চিতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ। একইসঙ্গে চালাচ্ছেন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ক্যাম্পেইন।
রাজনীতিবিদদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নেতৃত্বে নির্ভীক পুলিশ সদস্যরা মাথায় গামছা বেঁধে কাটছেন অসহায় কৃষকের জমির পাকা ধান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করছেন ত্রাণ সামগ্রী। হটলাইনে ফোন দিলেই মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত অভুক্ত মানুষের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। এতিম, প্রতিবন্ধী ভাসমান ও ছিন্নমূল অনাহারী মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে ইফতার।
স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ ফ্রি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ডাক্তারদের সঙ্গে নিয়ে তৈরি ভ্রাম্যমাণ টিম অ্যাম্বুলেন্সসহ গাড়িবহর স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকা থেকে এলাকায়।
বিজ্ঞাপনটি দেখতে ক্লিক করুন
সম্প্রতি মানুষকে ঘরে রাখতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে সুলভ মূল্যে দৈনন্দিন বাজার সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনার ছোবল থেকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের রক্ষা করতে পুলিশ লাইনস ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বসানো হয়েছে জীবাণু নাশক টানেল। করোনা আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে এলাকাবাসী ভয় পেলেও পুলিশ সদস্যরা এসব লাশের দাফন সম্পন্ন করছেন। এসব কাজের সমন্বয় করছেন এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার নিজেই।
করোনার দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষকে সর্বাধিক সেবা প্রদান করে আলোচনায় এখন জেলা পুলিশ। তাই সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এখন জেলা পুলিশের প্রশংসা। সর্বশেষ লকডাউন নিশ্চিতে জেলা পুলিশের কর্মকাণ্ড ও কৃষকের ধান কেটে দিয়ে আলোচনার সম্মুখ ভাগে চলে আসেন এই বাহিনীর সদস্যরা।
জেলা পুলিশ তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংকট মোকাবেলায় কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান,অসহায় দুস্থ ও পরিবহন শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রমজান মাসের শুরুতেই নরসিংদী জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় সুলভ মূল্যে ঘরের বাজার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, ডাল, তেল, ছোলা, বেসন, লবণ, চিনি, আলু, পিয়াজ, বেগুন, ইত্যাদি মানুষের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যাতে করে বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় কমানো সম্ভব হয়। এবং মানুষ জনকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানো যায়।
তাছাড়া পবিত্র মাহে রমজানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে খুচরা বাজারের চেয়ে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি ক্রয় করা হচ্ছে। ফলে কৃষকরা সবজির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে।
নরসিংদী সদরসহ, মাধবদী, পলাশ, শিবপুর মডেল, মনোহরদী, রায়পুরা ও বেলাব থানাধীন বিভিন্ন স্থানে গণজমায়েত রোধ, অযথা ঘোরাঘুরি বন্ধে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে জেলা পুলিশ। এছাড়া আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে না দেয় সে লক্ষ্যে বাজার গুলোতে সাড়াশি অভিযান চালানো হয়। মত বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
ভাইরাসের সংক্রমণ সবাইকে ঘরে অবস্থানের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এর বাহিরেও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, এতিম, পথ শিশু, রিকশাচালক, ভিক্ষুক, দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে জেলার ৬টি উপজেলার ৭টি থানায় ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
নরসিংদী জেলার সঙ্গে অন্যান্য জেলা থেকে প্রবেশ ও প্রস্থান রোধে সড়ক মহাসড়ক ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। সমস্যায় পড়া মানুষগুলোকে সাহায্যে সশরীরে উপস্থিত হচ্ছেন জেলা পুলিশের কর্ণধার প্রলয় কুমার জোয়ারদার (বিপিএম বার,পিপিএম বার)।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও মিডিয়া সমন্বয়কারী পুলিশ পরিদর্শক রুপম কুমার সরকার (পিপিএম) জানিয়েছেন, নরসিংদী জেলা পুলিশের সুপার হিরো হল আমাদের এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার। তার সুদক্ষ নির্দেশনায় ৬টি উপজেলার ৭টি থানার সকল পুলিশ সদস্যরা করোনা সংকট মোকাবেলায় ও লকডাউন নিশ্চিতে দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছে। অসহায়দের খাদ্য সহায়তা থেকে শুরু করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার,মাস্ক বিতরণসহ সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে।
সূত্র: যুগের চিন্তা
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস