The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: ইতিহাসে ক্রিকেটের অন্যতম বড় ট্র্যাজেডি হিসেবে ধরা হয় ১৯৮৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের কাছে তখনকার প্রবল পরাক্রমশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয়। ১৯৭৫ এবং ১৯৭৯ সালে টানা প্রথম দুই বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। ১৯৮৩ বিশ্বকাপের ফাইনালেও উঠে গিয়েছিল তারা। কিন্তু তখন তাদের সামনে থাকা ভারতকে মোটেও দাম দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার ফল তারা পেয়ে যায় ফাইনাল শেষে।
সেবার ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লর্ডসে কপিল দেবের হাতে বিশ্বকাপ শিরোপা ওঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিযে। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অমর একটি ফ্রেম। যা ভারতের ক্রিকেটের প্রসারে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছিল।
নিঃসন্দেহে ১৯৮৩ সালের সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে ফেবারিট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারত ছিল আন্ডারডগ; কিন্তু নাটকীয়ভাবে ৪৩ রানে জিতে যায় কপিল দেবের দল।
কিভাবে ঘটেছিল এই অসাধ্যসাধন? এবার ক্লাইভ লয়েডের সেই দলের অন্যতম সদস্য মাইকেল হোল্ডিংয়ের মুখে উঠে এল এর অন্যতম কারণ। তিনি জানিয়ে দিলেন, আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল ওয়েস্প ইন্ডিজ।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমরা হয়তো আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলাম। বিশ্বকাপে ভারতের মত দলেল কাছ থেকে কোনো সমস্যা হতে পারে বলে ভাবিইনি। হ্যাঁ, বিশ্বকাপের আগে ওরা অবশ্য আমাদের বেশ কয়েকবার হারিয়েছিল; কিন্তু আমরা বরাবরই ভেবেছি যে, ভারতকে ঠিক হারিয়ে দেব। বিশেষ করে আমাদের যে ধরনের পেস আক্রমণ ছিল, সেটাই ভরসা দিয়েছিল।’
১৯৮৩ সালের সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৮৩ রানে থেমে গিয়েছিল ভারত। হোল্ডিং বলছেন, ‘আমরা তখন ধরেই নিয়েছিলাম যে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছি। এত কম রানে আটকে রাখার পর মনে হয়েছিল সহজেই জিতে যাব। প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিলে এমনই হয়। অন্যদের খাটো করে দেখলে তারা যখন খেলার মান বাড়িয়ে তোলে তখন মুশকিলে পড়তে হয়। ভারত ছিল আন্ডারডগ। ওদের হারানোর কিছু ছিল না। কপিল ও তার দল মাঠে নেমে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল। আমাদের চমকে দিয়েছিল। আমরা ছিলাম অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী। ভেবেছিলাম সহজেই জিতে যাব।
নিউজ২৪.ওয়েব/ সংবাদদাতা /নিরাক