The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: আপনাদের একজন সমর্থক বা সামান্য কন্ট্রিবিউটর হিসাবে কয়টা কথা কি বলতে পারি, প্রিয় বিদ্যানন্দের ভাই ও বোনেরা?
আপনারা লোকের কথাতে খুব বেশী রিঅ্যাক্ট করছেন! এতো বড় কাজ আপনারা করছেন, এতো এতো মানুষের আস্থা আপনারা পাচ্ছেন, আপনাদেরকে আরেকটু ম্যাচিউর রিঅ্যাক্ট করতে হবে! সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা আপনাদের হাজার হাজার প্রত্যক্ষ এবং কোটি কোটি অপ্রত্যক্ষ সমর্থকের কথাকে গুরুত্ব দিবেন নাকি কতিপয় “পাছে লোকের”!
বাংলাদেশে আপনি কিছু করবেন আর আপনার পিছনে কেউ লাগবেনা তাতো হবে না! এখন পাছে লোকের প্রতিটা রিঅ্যাকশনে যদি আপনারা প্রতিক্রিয়া দেখান তাহলেতো আসল কাজটা গোলমাল হয়ে যাবে!
বয়সে আপনাদের চেয়ে একটু বেশী হবো বলে নিজের জীবনের একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা বলি! আমি যখন প্রথম সো কলড “আলোচনায়” আসি তখন আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু হয়! ভাষা নষ্ট করে দিচ্ছি, তরুণ সমাজকে বিপথে ঠেলছি! তখন আমি খুব রেগে যেতাম! রিঅ্যাক্ট করতাম! প্রতিটা কথার জবাব দিতে চাইতাম! তখন দুইজন অগ্রজ আমাকে দুইটা মহা মূল্যবান কথা বলছিলেন! একজন ছিলেন তারেক মাসুদ! উনি বলছিলেন, তুমি নতুন রাস্তা বানাইয়া সেটাতে বিহার করবা আর পুরনো রাস্তার কন্ট্রাকটররা তোমাকে কিছু বলবে না এটা আশা করো কেনো? এইসব নিয়া মাথা না ঘামাইয়া যা করতেছো, করো!
আর দ্বিতীয়জন ছিলেন আফজাল হোসেন! উনি বলছিলেন, তুমি একটা কাজ করলে যদি দেখো সমাজে কোনো প্রতিক্রিয়াই হলো না, তাহলে মনে করবা তোমার কাজটা কিছু হয় নাই! আফজাল ভাইকে নাকি এটা বলছিলেন সৈয়দ শামসুল হক! পরম্পরা রক্ষার মতো করে আফজাল ভাই এই উইজডম আমার হাতে দিয়েছিলেন! আমি আজকে আপনাদের কাছে পাস (Pass) করলাম! জানিনা আপনাদের কাজে আসবে কিনা!
আমি জানি, মাঝে মধ্যে প্রচন্ড খারাপ লাগে আজেবাজে কথা শুনলে। ঐ সময় তাকাতে হবে আপনার লাখো সমর্থকের দিকে! “পাছে লোকে”র দিকে না! আপনাদের লাখো সমর্থক আপনাদের পিছনে দাঁড়ানোর আগে বিদ্যানন্দ নামের অর্থ জানতে চায়নি, বলেনি কিশোর কুমার দাস থাকলে আমরা নাই! এই বাংলাদেশের তরুণদের কাছে এইসব জিনিসের কোনো পাত্তা নাই! সো ওয়েক আপ গাইজ! ইউ কান্ট লেট ইওর সাপোর্টারস ডাউন, ইউ কান্ট লেট বাংলাদেশ ডাউন! ডোন্ট টেক এনি ইমোশনাল ডিসিশান! উই লাভ ইউ!
সূত্র: এগিয়ে চলো
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস