The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দুই যুবককে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের কেসিফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনা। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নির্যাতনের একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের কেসিফরিদপুর গ্রামের দরিদ্র হোসেন আলীর পৈত্রিক বসতবাড়িসহ জায়গা-জমি নিয়ে একই গ্রামের প্রভাবশালী দলিউর রহমান দুলাল, হাফেজ আলী, খায়রুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, আব্দুল হালিম ও মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই একপর্যায়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রভাবশালী দলিউর রহমান দুলালের নেতৃত্বে উল্লেখিত সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্রটি বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দরিদ্র হোসেন আলীর বসতবাড়ি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা চালায়।
এ সময় হোসেন আলীর ছেলে সুলতান মাহমুদ ও রুবেল হোসেন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী দুলাল তাদের দুইজনকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বাঁধার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে উল্লেখিত ব্যক্তিরা সুলতান মাহমুদ ও রুবেল হোসেনকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বাঁধে এবং মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এতেও তারা ক্ষ্যান্ত না হয়ে পরবরতীতে হোসেন আলীর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে হোসেন আলীর স্ত্রী আমিনা খাতুনকে (৫০) মারপিট এবং বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকায় মৃত হরমুজ আলীর ছেলে দলিউর রহমান দুলাল (৪৫),গোলাম কিবরিয়া (২৭), মৃত হাছেন আলীর ছেলে আব্দুল হালিম (২৫) ও আব্দুল খালেকের ছেলে সমন মাহমুদকে (২২) আটক করেছে। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করে হোসেন আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
দুই যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে চারজনকে আটকের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়গঞ্জ সার্কেল) ইমরান রহমান থানায় এসে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সলঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেডজেড তাজুল হুদাসহ অভিযানে অংশ গ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
সলঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেডজেড তাজুল হুদা বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই সময়ে এ ধরনের ঘটনা কখনও মেনে নেয়া যায় না। আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছি। অন্যদেরও আটকের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। অপরাধী যেই হোক তার কোনো ক্ষমা নেই।(সূত্র জাগোনিউজ২৪)
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/ নিরাক