The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: ২০১৯-এর ২২ আগস্ট। ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল অভিজ্ঞ আনন্দ নামের এক কিশোর। জ্যোতিষশাস্ত্রে পারদর্শী এই কিশোর তখনই ইঙ্গিত দিয়েছিল করোনা ভাইরাসের। সরাসরি কোনও নাম উল্লেখ না করলেও ভিডিওতে সে জানায়, বিশ্বজুড়ে একটি রোগ মানুষকে সংকটে ফেলবে। বিশেষ করে প্রভাবিত হবে ভারতবর্ষ। এও বলে, নভেম্বর ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়টা একেবারেই ভাল যাবে না। সেই কিশোর জ্যোতিষীর কথা কার্যত ফলে যাওয়ায় নতুন করে শিরোনামে উঠে এসেছে সে। সম্প্রতি আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে আনন্দ। যেখানে সে জানাচ্ছে, এই মহামারি থেকে ঠিক কবে মুক্তি পাওয়া যাবে।
গত বছর আগস্টে যে ভিডিওটি সামনে আসে, তাতে বড়সড় যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছিল আনন্দ। সে জানায়, গত নভেম্বর থেকে এবছরের এপ্রিল পর্যন্ত বড়সড় যুদ্ধে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইরান-সহ বেশ কিছু দেশ। প্রভাব পড়বে ভারতেও। অর্থনীতি থেকে বিমান পরিষেবা, সব ক্ষেত্রেই ক্ষতির সম্মুখীন হবে বিশ্ব। তারপরই সে উল্লেখ করে একটি রোগের। বলে, “বিশ্বজুড়ে একটা রোগ ছড়িয়ে পড়বে। যাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে প্রায় গোটা দুনিয়া। আর বিশ্ব না হলেও ভারত তো অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। তবে ধৈর্য করে কঠিন লড়াই করে সেই পরিস্থিতি জয় করা সম্ভব হবে।” আনন্দের কথা অনেকটাই সত্যি বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে। আরেকটি ভিডিওতে সে বলে, “আমি যুদ্ধের উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি যুদ্ধের থেকে কম কিছু নয়।”
সেই সঙ্গে সে জানায়, আজ অর্থাৎ ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল বড় কোনও সংকট নেমে আসতে পারে। এক্ষেত্রে জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যাখ্যাও তুলে ধরেছে সে। আনন্দের কথায়, ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিলের মধ্যের সময়টা একেবারেই ভাল নয়। এই সময় সকলকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে সে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলসি পাতা খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে। সেই জন্যে জলে কাঁচা হলুদ, জোয়ান আর আদা দিয়ে তা গরম করে সেই জলের ভাপ নিতে বলছে আনন্দ। এতে ভাইরাস নাক বা কান দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না।
এই টোটকার পাশাপাশি অভিজ্ঞ আনন্দ জানায়, কবে এই ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে মানুষ। তার মতে, ২৯ মে বিশ্ব থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিতে শুরু করবে এই মহামারি। একদিনে এই ভাইরাস (Coronavirus) ভ্যানিশ হয়ে যাবে না। তবে ওই তারিখের পর থেকেই এর প্রভাব কমবে। মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করবেন। আনন্দের এই ভবিষ্যদ্বাণীর ভিডিওটি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। গত বছরই সে মহামারির ইঙ্গিত দেওয়ায় এবার এই তার এই ভবিষ্যদ্বাণীতেও ভরসা করছেন অনেকেই। এবার দেখার বিষয় হলো, আনন্দের আন্দাজ বাস্তবে রূপায়িত হয় কি না।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস