The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: যৌতুকের জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীকে নির্যাতনসহ ভরণপোষণ না দেয়ার অভিযোগে জেলা যুবলীগ নেতা শাহ ফয়েজ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফয়েজ উল্লাহ নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক।
শনিবার (২৮ মার্চ) রাত ১১টার দিকে শহরের জামতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ফয়েজকে গ্রেফতার করে।
এর আগে যৌতুকের দাবিতে ফয়েজের বিরুদ্ধে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ তোলেন দ্বিতীয় স্ত্রী আরোহী হাওলাদার (২২)। তার অভিযোগ বিয়ে করার পর থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফয়েজ। সেসময় আরোহী ফয়েজের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছিলেন। নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে পুলিশ সেই মামলায় ফয়েজকে গ্রেপ্তার করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শহরের কলেজ রোড এলাকার মৃত খলিল হাওলাদারের মেয়ে আরোহী হাওলাদার। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জামতলা এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে শাহ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজকে (৪৩) বিয়ে করেন। এরপর তাদের ঘরে একটি সন্তান হয়। বিয়ের পর থেকেই ফয়েজ আরোহীকে নানাভাবে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেন। এর প্রেক্ষিতে আরোহী ৮ লাখ টাকাও দেন ফয়েজকে। এর মধ্যে ফয়েজ পরিবারের কোনো ভরণপোষণ না দিয়ে সম্প্রতি আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না পেয়ে ২৭ মার্চ তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ফয়েজ। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে ও চিকিৎসা করায়।
আরোহী জানান, ফয়েজ আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ৭ দিন একটি জায়গায় আটকে রেখে তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। তার আগের স্ত্রী সন্তান রেখে আমাকে জোর করে বিয়ে করেন। ফয়েজের যে কয়টা বউ তা সে নিজেও বলতে পারবে না।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করার হয়। সেই মামলায় শনিবার রাতে শহরের জামতলা এলাকা থেকে ফয়েজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে তার স্ত্রী আরোহী হাওলাদারের দায়ের করা মামলায় আদালতে পাঠানো হবে।
নিউজ২৪.ওয়েব/ সংবাদদাতা /নিরাক