The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে আজ শুক্রবার (০৬ মার্চ) ইউএসএইডের উদ্যোগে ও এবিসি রেডিওর বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সেখানে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, ‘আজকে নারী দিবস আমাদের জন্য বড় কোনো ব্যাপার না। মানুষের দিন চাই। মানুষ দিবস হওয়া উচিত, নারী না।’
রুবানা হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে করে বলেন, ‘সামনে যে ছেলেরা বা মেয়েরা বসে আছে, তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। মানুষ হিসেবে আমরা দাঁড়িয়ে আছি কি না এটি জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে স্পষ্ট করে বলতে পারলে মানুষের জয় হয়, শুধু নারীর না। নারীরাও নারীদের টেনে নামায় জানিয়ে বলেন, ‘এটা “হি ফর শি” হ্যাশট্যাগ না, এটা “শি ফর শি”। নিজে নারী হলে আরেক নারীর জন্য জায়গা করে দাও। পুরুষ হলে আরেকজন মানুষের জন্য জায়গা করে দাও।’ কেউ সুযোগ দেবে না, সুযোগ ছিনিয়ে আনতে হবে।
জীবনের মূল্যবোধ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এখন জীবনের মূল্য বদলে গেছে। বিত্ত মানুষকে সংজ্ঞায়িত করে না। নিজের শক্তি, ভেতরকার জ্ঞান, নিজের ওপর বিশ্বাস, প্রতিদিনের পড়া, লেখা, সমতা, ন্যায়বিচারই মানুষকে সংজ্ঞায়িত করে। শিক্ষার্থীদের এসব থেকে সরে না যাওয়ার আহ্বান জানান। রুবানা হক বলেন, ফিতা কাটা, বড় ডেস্কে দাঁড়িয়ে কথা বলা, এটা জীবনের লক্ষ্য না। বিনয়ী হতে হবে। সবাইকে সমানভাবে দেখতে হবে, বিনয়কে মাথায় রাখতে হবে। একটি সুন্দর আগামী গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়ান ওয়াগনার বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই শিক্ষার্থীরাই পরিবর্তন আনবে। বিশ্বকে পরিবর্তন করার সেই শক্তিও এই শিক্ষার্থীদের।
ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে জোয়ান ওয়াগনার বলেন, ক্ষমতা অন্য কোথাও থেকে আসে না, এটা নিজে থেকেই আসে। নিজের ক্ষমতার বিকাশ, উন্নয়ন ও প্রয়োগ ঘটাতে হবে। এ ছাড়া বলেন, নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রতিযোগিতা নয়, পুরুষরাও নারীদের মিত্র।
বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগী জানিয়ে জোয়ান ওয়াগনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ দেশে নারীদের অর্জনকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যখনই মনে হবে কিছু বলা দরকার, তখনই আওয়াজ তুলতে হবে। সেটা নারী বা পুরুষ যে কারও বেলায় কোনো বৈষম্য হোক না কেন। নারী দিবস নিয়ে বলেন, নিজেদের অধিকার কাজে লাগাতে হবে।
ইউএসএইড বাংলাদেশ মিশনের পরিচালক ডেরিক এস ব্রাউন বলেন, যখন নারীরা ভালো করেন, পরিবার, সমাজ ভালো করে। অর্থাৎ নারীরা ভালো করলে সবাই ভালো করে।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিষয় ছিল ‘মেয়েদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে পরিবারই মুখ্য ভূমিকা পালন করে’। রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নটর ডেম কলেজ, সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল ও হলি ক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়। এতে বিচারক ছিলেন চলচ্চিত্রকার ও চিত্রনাট্যকার শামীমা আক্তার, বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের মোর্শেদ হাসিব ও ইমাগো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা কাজী সাবির। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইডের জেন্ডার উপদেষ্টা মাহমুদা রহমান খান।
সূত্র: প্রথম আলো
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস