The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: `পুলিশের চেয়েও বেশি অস্ত্র ছিল আমার কাছে` নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের এই বক্তব্য এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। যদিও এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন শামীম ওসমান। তবে ওই ব্যাখ্যা উঠে এসেছে শামীম ওসমানের আরেক তথ্য।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি গণমাধ্যমে শামীম ওসমানের দেয়া ব্যাখ্যা বক্তব্যে উঠে এসেছে- এক সময় শামীম ওসমান অস্ত্রের রাজনীতি করতেন। সময়টা ১৯৭৫-১৯৯১ সাল। এই ১৬ বছর অস্ত্রের রাজনীতি করেছেন শামীম ওসমান।যদিও শামীম ওসমান বলেছেন, ওই সময়টাতে অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
১ মার্চ জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান বলেন, ২০০১ সালের আগে আমার কাছে পুলিশ ফোর্সের চেয়েও বেশি অস্ত্র ছিল। আর এখন আমার গাড়িতেও অস্ত্র আছে কিনা জানি না। এই বক্তব্যের পরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। অনেকেই বলেন, হয়তো কথার কথা হিসেবে বলেছেন তিনি। তবে ওই বক্তব্য সজ্ঞানেই বলেছেন বলে জানিয়ে স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন শামীম ওসমান। পাশাপাশি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে কথা বলেন ওই সাংসদ।
তবে এই সময় তিনি জানান, সালটা ভুল হয়েছে। সালটা ২০০১ নয় সেটা হবে ১৯৯১। ওই সময়গুলোতে তিনি এবং তার লোকজন অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি যা বলেছি ঠিকই বলেছি। তবে সময়টি হবে ১৯৯১ সাল। তখন আমার বয়স ছিল ২২ বছর। আমি ভুলে ২০০১ সাল বলে ফেলেছি। আমার কাছে তো অস্ত্র ছিল। আমরা গোলগুলি, ফাটাফাটি তো করেছি। এটা অস্বীকার করবো কিভাবে? আগে মনে করতাম অস্ত্রই শক্তিশালী, কিন্তু এখন বিশ্বাস করি পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহ শক্তিশালী। আমার কাছে এখন কোনো অবৈধ অস্ত্র নেই।
অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের যুক্তি হিসেবে শামীম ওসমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আমরা অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ ওই সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশ নিয়েছে। মিথ্যা কথা বলবো না, তখন আমরা অস্ত্র জোগাড় করতে বাধ্য হয়েছি।
বঙ্গন্ধুকে মেরে ফেলার পর আমরা মনে করেছিলাম প্রতিশোধটা আমরা হত্যার মাধ্যমে নেবো। কিন্তু আমাদের এই ধারণা পরিবর্তন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হত্যার মাধ্যমে প্রতিশোধ নয়, আইনের শাসনের মাধ্যমে প্রতিশোধ। অস্ত্র নিয়ে বক্তব্য দিয়ে প্রথম আলোচনা তারপর সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আরও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন শামীম ওসমান।
তার বক্তব্য অনুযায়ী, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগহণ ছিল। তাদের প্রতিহত করতে অস্ত্র হাতে তুলেছিলেন শামীম ওসমান। যদিও ১৯৮৬-৯১ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাংসদ ছিলেন শামীম ওসমানের বড় ভাই জাতীয় পার্টির নেতা একেএম নাসিম ওসমান।
শামীম ওসমান দাবি করেছেন, ১৯৯১ সালে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার পর তার আর অস্ত্রের প্রয়োজন হয়নি। তাই জমা দিয়ে দেন।
তিনি জানান, ওই সময় নারায়ণগঞ্জের এসপি ছিলেন মমিন উল্লাহ পাটোয়ারি। তখন তিনি ও তার সহযোগীরা পুলিশের কাছে লাইন ধরে, প্যাকেট ভরে সব অবৈধ অস্ত্র জমা দিয়েছেন। তবে অস্ত্র জমাদান পর্বটি আনঅফিসিয়াল ছিল বলেও জানান তিনি।
নিউজ২৪.ওয়েব/ সংবাদদাতা /নিরাক