The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল পরলোকগমন করেছেন। গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মুম্বাইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা, এবিপি নিউজসহ অন্যান্য গণমাধ্যম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুরোগে ভুগছিলেন তাপস পাল। গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি বান্দ্রার এক হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ভর্তির পর থেকে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়া হয়। গতকাল রাতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দিবাগত রাত তিনটা ৩৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম নেন তাপস পাল। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিলো। কলেজে পড়াকালীন নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের। সিনেমা জগতে পা রাখার সময় তাপস পালের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘দাদার কীর্তি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি এ জগতে পা রাখেন।
এরপর ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘সাহেব’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসাসহ’ বেশ কিছু হিট ছবি তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। অভিনেতা হিসেবে তিনি বাংলাদেশেও সমান জনপ্রিয় ছিলেন। ‘সাহেব’ ছবির জন্য তিনি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারও পান। তাপস পাল বলিউড তারকা মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে ‘অবোধ’ নামের একটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন।
পাশাপাশি অভিনেতা তাপস পাল রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত হন। ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনয়ন পেয়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হন। তবে রাজনীতি যুক্ত হয়ে তিনি দুর্নীতি ও বেফাঁস মন্তব্য করে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রোজভ্যালি দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। চিটফান্ড দুর্নীতিতেও তাঁর নাম ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে তাপস পালের দেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে টালিউডে।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস