The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
নিউজ২৪.ওয়েব: আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে আমের গাছগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে আম্রমুকুল। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবারেও আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৬ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিলো। প্রতি হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছিলো ১৫ মেট্রিক টন। যার ফলে লাভবান হয়েছিলো এলাকার আমচাষীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৮ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমগাছ লাগানো হয়েছে। যাতে করে এ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ১শ’ ৫০ হেক্টর জমি। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বাগানের আমগাছ গুলোতে উঁকি মারছে মূকুল। এই মুহুর্তে আমের মূকুল রক্ষার্থে এবং অধিক ফলনের লক্ষ্যে বাগানের গাছ গুলোতে উকুন নাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাক নাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান সেলিম।
গতবছরের ন্যায় চলতি বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে আবারো ১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বছরে আম বাগান বৃদ্ধি হলেও গাছ গুলো নতুন হওয়ায় সেগুলো থেকে ফল আশা করছেননা এলাকার আমচাষীরা। যার ফলে গড় উৎপাদন গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার একাধিক আমচাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আমের মূকুলে গুটি দেখা যাবে। মুকুল যাতে ঝরে না যায় সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যাবহার করছেন। আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন আমচাষীরা। সবমিলিয়ে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরেও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার আমচাষীরা।
নিউজ২৪.ওয়েব/আলমগীর হোসেন/নিরাক হাসান