The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
নিজস্ব প্রতিবেদন (সুভাষ সাহা): একসময় রেংকিংয়ে প্রথম এবং আউটস্ট্যান্ডিং ডিজিটাল পারফরম্যান্সের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকারের গোল্ড এক্সিলেন্ট এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের কর্ণধার লায়ন এমকে বাশার এর কর্মজীবন শুরু শিক্ষকতা পেশা দিয়ে। ২০০৫ সালে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের স্বপ্নযাত্রা শুরুর পর তাঁকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
শিক্ষাদান ও শিক্ষকতায় অন্তপ্রাণ এমকে বাশার মেধা,সততা ও পরিশ্রম দিয়ে গত ১৪ বছরে ঢাকা,কুমিল্লা, বি,বাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশে মোট ১৯ টি মানসম্মত ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ গড়ে তুলেছেন।
বিএসবি ফাউন্ডেশন পরিচালিত ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিটি শাখায় রয়েছে আধুনিক মানসম্মত শিক্ষা ও অবকাঠামোগত সুব্যবস্থা।
ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ দেশে এখন ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ নামে পরিচিত। মানসম্মত শিক্ষাদানের সংকল্প নিয়ে দেশবরেণ্য শিক্ষানুরাগী গ্রুপ অব ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের কর্ণধার লায়ন এমকে বাশার সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে ‘ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের ১৯ তম ক্যাম্পাসের নবযাত্রা সুচনা করেন। এ উপলক্ষে গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে নতুন ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে জমেছিল আলোকিত মানুষের বিশাল মেলা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালোর মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল(এসডিজি) ২০৩০’ অর্জনে শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত জ্ঞান পিপাসু আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে প্রধান আলোচক ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ গ্রুপের চেয়ারম্যান এমকে বাশার (পিএমজেএফ) বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষাদানের গুরুদায়িত্ব পালনে আগে নারীদের শিক্ষিত মা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এ মায়েরাই সন্তানদের সুশিক্ষার ভিত্তি রচনায় মূল ভূমিকা রাখবেন। এ কাজটি করার জন্য ক্যামব্রিয়ান গ্রুপ অব স্কুল এন্ড কলেজ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
নবনির্মিত ডিজিটাল সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন নারায়ণগঞ্জে দৃষ্টিনন্দন এ ক্যাম্পাসের নিজস্ব উন্মুক্ত মাঠে আয়োজিত অভূতপূর্ব এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলেন সনামধন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রী অভিভাবক ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক আলোকিত মানুষ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক টেকসই উন্নয়নের জন্য যে ১৭ টি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এরমধ্যে ৪ নাম্বার বিষয় শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য, জলবায়ু(পানি)সহ আরো কয়েকটি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ক্যমব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষাবিষয়ক বরেণ্য এই গবেষক লায়ন এমকে বাসার (পিএমজেএফ) এর দিকনির্দেশনামূলক দীর্ঘ ভাষণ উপস্থিত শ্রোতাগণ পিনপতন নীরবতায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ইতালি, থাইল্যান্ড ও চীন থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনে দেশের চলমান মেট্রোরেল,সেতু তৈরির কাজ করা হচ্ছে,পারমাণবিক কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে রাশিয়া থেকে বিশেষজ্ঞ এনে।
আমাদের দেশের ১ কোটি মানুষ বিদেশ থেকে চাকরি করে যে র্যামিটেন্স আনেন, ৬০ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকের ঘাম ঝরিয়ে যে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করেন…তার ৬৫% নিয়ে যায় বিদেশি বিশেষজ্ঞরা।
আমরা যদি আমাদের দেশের মানুষকে মানসম্মত ও টেকসই শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারি তাহলে আরো দ্রুততম সময়ে উন্নত দেশ গড়তে পারবো। পরিবেশ রক্ষায়ও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।পানির অপচয় করা যাবেনা। অন্যথা পানির জন্য আমাদের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ করতে হতে পারে।
মুরুব্বিরা যাঁরা উপস্থিত আছেন,মনে করে দেখুন,ছোটবেলায় শুনেছি,বৃটিশ আমলে শীতলক্ষ্যার পানি বোতলে করে কলকাতায় বিক্রি করা হতো পিওর পানি হিসেবে। এখন দর্গন্ধ। এগুলো আমরাই করেছি। গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি.. লক্ষ্য করুন, বিদেশে তো জায়গার অভাব নেই, তারা কেন গার্মেন্টস করছেনা? তারা প্রযুক্তিতে এগুচ্ছে। বিষয়গুলো বুঝার সময় এসেছে।
কিছুদিন আগের কথা, ১৮ অক্টোবর থেকে ঘরের ভেতরে হাজার কোটি টাকা পড়ে আছে দেখেছি! অন্যদিকে ভোখা মানুষ বিবস্ত্র,রাস্তায় কষ্টে রাত কাটায়! এসব বৈষম্যের কারণে অপরাধ,অন্যায়,অবিচার মাথাচাড়া দেয়। ৪৫ টাকার পেঁয়াজ ২৫০ টাকা। কারা করছে? কথিত শিক্ষিতরাই এসব অনৈতিক কাজে জড়িত।
তাই আমাদের পাঠশালায় আদর্শ শিক্ষা দরকার। সত্যিকার অর্থেই যদি আমরা ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে চাই,তাহলে প্রত্যাকটা ক্লাসরুমকে মাল্টিমিডিয়ারর আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষককে এ মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের আওতায় আনতে হবে। আপনাদের যাঁরা এদিক থেকে পিছিয়ে আছেন,ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনলইন কম্পিউটার ল্যাবে এসে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।এজন্য কোন পে করতে হবেনা। এ ক্যাম্পাসের মঞ্চ ও মাঠ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারেন।
সাম্প্রতি, এ ক্যাম্পাসের জন্য শিক্ষক ইন্টারভিউ’র উদাহরণ দিয়ে বলেন,আড়াই হাজার প্রার্থীর মধ্য থেকে ১০০ মানসম্মত শিক্ষক বাছাই করতে হিমসিম খেতে হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষার দুর্বলতা দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের।। উল্লেখ্য,ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজে চলতি শেসনে ১০০০ শিক্ষার্থীর ভর্তীর সুযোগ রাখা হয়েছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি শ্রেণীতে ৩২ আসনসংখ্যা।
সর্বত্র আধুনিকতার ছোঁয়া। শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্যামব্রিয়ান আন্দোলনের পথচলার শেষ কোথায়? এবং স্কুল-কলেজের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করার ভাবনা প্রসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জনক এমকে বাশার বলেন, নিজ জেলা ব্রাম্মবাড়িয়ায় আড়াই শ’ বিঘা জায়গার উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়োছে। একটি কারিগরী ও অপরটি ক্যামব্রিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বস্তব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ লায়ন এমকে ব্শারের বিস্ময়কর ভাষণে অভিভূত শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণ তাঁদের প্রতিক্রিয়ায়,লায়ন এমকে বাশারকে শিক্ষকদের শিক্ষক হিসেবে অভিহিত করেন। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিগণ নতুন এ ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ,পাঠাগার,কম্পিউটার ল্যাব,কনফারেন্স রুম,প্লে-নার্সারি শ্রেণীর উপযোগী মানসম্মত ব্যবস্থা বিশেষ করে মানসম্মত একাডেমিক পদ্ধতি ও প্রশাসনিক সুরক্ষা সবাইকে মুগ্ধ করে।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস