Get the Latest News & Videos from News24 > অপরাধ ও দুর্নীতি > চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দুই ছাত্রলীগ কর্মীর হানা

অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক ক্লাব শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত । কিন্তু সেখানে গিয়ে ক্যান্টিনে নাস্তা খেতে চান শাখা ছাত্রলীগের দুইকর্মী। তবে এতে বাধ সাধেন ক্লাব ক্যান্টিনের কর্মচারীরা। দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে নাস্তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় সেখানেই তর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা।

ছাত্রলীগের দুইকর্মী এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্যান্টিনের তৈরি খাবার মাটিতে ফেলে দেন। এখানেই থেমে থাকেননি, রান্না ঘরে থাকা কড়াই পাতিলও ভাঙচুর করেন। তাদের বিরুদ্ধে এমনি অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও ক্লাবের ক্যান্টিন কর্মচারীরা।

গত সোমবার (০৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়স্থ শিক্ষক ক্লাব ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। তবে ভাংচুরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।

অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র রুমেল হোসাইন ও মুজিবুর রহমার। দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের বগি ভিত্তিক উপ-গ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের সদস্য এবং চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারি হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের কাছে নাস্তা বিক্রি করার নিয়ম না থাকলেও সোমবার রাতে নাস্তা খেতে যায় ছাত্রলীগ কর্মী রুমেল ও মুজিব নামে শাখা ছাত্রলীগের দুইকর্মী। এ সময় তাদের নাস্তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্যান্টিনের কর্মচারীর সাথে তারা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপযার্য়ে ক্যান্টিনের খাবার দাবার মাটিতে ফেলে দেন। সেই সাথে কড়াই ও হাড়ি-পাতিল ভাংচুর করে চলে যান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রুমেল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নাস্তার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু ক্যান্টিনের কর্মচারী আমাদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে। পরে আমরা চলে এসেছি। আমরা কোনো ভাংচুর করিনি।

তবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবের (ক্যাম্পাস) সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব শুধুমাত্র শিক্ষকদের ব্যবহারের জন্য। ক্যান্টিন থেকে খাবার ছাত্রদের কাছে বিক্রির নিয়ম নেয়। তাদের দু’জনকে ক্লাবের কর্মচারী নাস্তা না দেওয়ায় তারা ক্যান্টিনে ঝামেলা করেছে। আমরা প্রক্টর অফিসে জানিয়েছি। কাল (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে ক্লাবের মিটিং করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিএক্স পক্ষের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল গণমাধ্যমকে বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি এখন জেনেছি। এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। তারা দু’জনই ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মী। তবে তারা যদি এ ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে তা ঠিক করেনি। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সংগঠন থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে এসব বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. রেজাউল করিমের ফোনে কয়েকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

নিউজ২৪.ওয়েব/সংবাদদাতা/ নাদিম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *