The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
নিউজ২৪.ওয়েব (পুলক ঘটক) : সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ এ হোয়াইট হাউসের সামনের দৃশ্য। আজ একাই হেটে বেড়ালাম। দেখলাম একজন রাষ্ট্রপতি প্রার্থী অবিরাম বক্তব্য দিচ্ছেন, কখনোবা গান গাইছেন; আমি ছাড়া তার দিকে তাকানোর আর কেউ নেই। পাশেই (১৫/২০ গজ দূরে) একজন হিস্প্যানিক যুবক নৃত্য করে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ভিক্ষা নিচ্ছেন।
আরও ২০ গজ দূরে কয়েকজন তরুণ-তরুণী (মোঙ্গলিয়ান ওরিজিন বলে মনে হল) বাইবেলের বার্তা প্রচার করছেন -যদিও কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। আমি আগ্রহ দেখানোয় আমাকে একটা বই দিল এবং কীভাবে অনলাইনে বিনামূল্যে বাইবেল স্টাডি করা যায় তা বুঝিয়ে দিল।
ঐ চমৎকার সন্ধ্যা বেলায় হোয়াইট হাউস ক্যাম্পাসে দর্শনার্থী দু’ তিনশ’র বেশি হবে না। ঢাকায় সংসদ ভবনের প্রবেশমুখ খোলা থাকলে এই সময়ে দর্শনার্থী দু’আড়াই হাজারের কম হতোনা। বঙ্গভবনের ক্যাম্পাস উন্মুক্ত থাকবে, সেতো ভাবাই যায়না।
এখানে হাত বাড়ালেই চা, পান, বিড়ি, আইসক্রিম, ফুসকা বা বাদাম কেনার সুযোগ নেই। তবে ব্যক্তি স্বাধীনতা শতভাগ। আপনি অবিরাম ডিগবাজী দিন অথবা প্রেয়সীর মুখে মুহুর্মুহ চুমু দিন… -কেউ ফিরেও তাকাবে না। ইট’স ন্যাচারাল।
অধিকাংশ মানুষ ছবি তোলায় ব্যস্ত। আমিও ‘এক্সকিউজ মি’ বলে স্ট্রেঞ্জারদের কাছে নিজের মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে নিলাম। দর্শনার্থীদের দু-তিনটি টিম দেখলাম, যেখানে ইন্টারপ্রেটার অথবা টিম লিডার হোয়াইটহাউস এবং আসেপাশের স্থাপনা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিবরণ দিচ্ছেন।
সবচেয়ে মায়া লাগল ঐ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর একাকিত্ব দেখে। দু’টি ছবি এবং একটি দেড় মিনিটের ভিডিও যুক্ত করছি; দেখে নিতে পারেন।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস.