The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
নিউজ24 ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে আলোচিত লিটন হত্যা মামলায় তিন আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত (জেলা ও দায়রা) জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এ আদেশ দেন। ১১ জনের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রফিক, হাবিব হাবলা ও পলাতক আসামি শরিফ মিয়া। রায় ঘোষণার সময় রফিক ও হাবিব হাবলা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি শরিফ মিয়া পলাতক রয়েছেন।
রায় ঘোষণার পর ফাঁসিরদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকের স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, আমি এ রায় মানি না। আমার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ। বিনা অপরাধে দশ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। আমি এখন সন্তানদের নিয়ে কি করবো।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা ন্যায় বিচারের আশায় মহামান্য উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি আমার স্বামী ন্যায় বিচার পাবে। রায় ঘোষণার পর পরই আসামি হাবিব ও রফিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসময় তার আত্বীয় স্বজনরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কে এম ফজলুর রহমান বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি। আদালত সকল দিক বিবেচনা করে একটি চুড়ান্ত রায় প্রকাশ করেছে। এছাড়াও মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষ এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর সন্ধা ৬ টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রফিক, হাবিব ও শরিফ সদর থানার নিতাইগঞ্জ মন্দিরের সামনে থেকে লিটনকে ডেকে নেয়। পরে নিতাইগঞ্জ খাল ঘাটের পরিত্যক্ত একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
লিটনের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লিটনকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত লিটনের ভাই সিরাজ মিয়া ধরে রফিক, হাবিব ও শরিফকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলে আসামি রফিক ও হাবলা ঘটনার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
নিউজ24 ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়