The main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. It should provide unconditional warmth.
অনলাইন ডেস্ক:-মডেল-অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন তিনি। কিন্তু দুই বছর না পেরুতেই সংসার ভেঙেছে তাদের। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) তাদের আনুষ্ঠানিক বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।
কী কারণে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফারিয়া যদিও তা স্পষ্ট করেননি। কিন্তু এই যুগলের বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে। রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে এ বিষয়ে ফারিয়া তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
ফারিয়ার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নেতিবাচক চর্চার বিষয়টি মর্মাহত করছে এই অভিনেত্রীকে। কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ফারিয়া লিখেছেন, তার মানে কি দাঁড়াল—ব্লেইম গেইম, গালি-গালাজ, মানুষকে ছোট করা মানুষ পছন্দ করে? বিচ্ছেদ কেন সুন্দর হবে! কেন বলবে আমরা বিচ্ছেদের পরও বন্ধু থাকব? যেই মানুষটা গত ৫ বছর ধরে আমার জীবনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ/ পরোক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল, এত এত স্মৃতি যা চাইলেই মোছা যাবে না তাকে কীভাবে ছোট করি? অবশ্যই মানুষটার সঙ্গে আমার যথেষ্ট কারণ না থাকলে বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্তে আসতাম না, কাউকে অসম্মান করে যেমন কেউ বড় হতে পারে না তেমনি আমাদের কাছের সবাই ও পরিবার জানে কেন এই সিদ্ধান্তে আসা!
বিচ্ছেদের কারণ ফারিয়া-অপুর পরিবারের সদস্যরা জানেন। কিন্তু অন্য কারো কাছে এই কারণ ব্যাখ্যা করতে নারাজ তিনি। এজন্য পরিস্কারভাবে এ অভিনেত্রী লিখেছেন—পরিবারের বাইরে কাউকে কোনো ধরনের ব্যাখ্যা করার কোনো দরকারই নাই! আমরা চাইও নাই কাউকে জানাতে। কিন্তু ‘একি করলেন শবনম ফারিয়া’ শিরোনামে নিউজ না দেখার জন্য আমরা জানাতে বাধ্য হই। প্লিজ মাথায় নেন, শেষটাও সুন্দর হতে পারে, শেষটাও সম্মান দিয়ে, ভালোবাসার সঙ্গে শেষ হতে পারে। আমার কষ্ট, আমার অভিমান আমার কাছেই থাক! মনে রাখবেন, কাউকে ছোট করা আল্লাহ কখনই পছন্দ করেন না।
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ফারিয়া-অপুর পরিচয়। এর পর দুজনের মাঝে তৈরি হয় ভালো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারিবারিক আয়োজনে আংটি বদল হয় তাদের। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ফারিয়া ও অপু।
নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/আয়েশা