Get the Latest News & Videos from News24 > খোলা বাতায়ন > “দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা!তারপরও বেঁচে যান বিদ্যানন্দের কিশোর!পরের গল্পটা রূপকথার মতো” (ভিডিওসহ)

সুভাষ সাহা: ‘কিশোর কুমার দাশ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন’ একটি বিস্ময়কর গল্পের শিরোনাম…

অবহেলা, বঞ্চনা আর দারিদ্র্যের অপর নাম বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা কিশোর কুমার দাস। হ্যাঁ, সেটা হচ্ছে কিশোর কুমার দাসের অতীত গল্প।
ফ্লাশব্যাক।।

জন্মের পর থেকেই অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে উঠা কিশোর কুমার তাক লাগানো একজন গবেষণাধর্মী সফল সমাজকর্মী। স্কুল জীবনে অর্থের অভাবে অষ্টম শ্রণীতে দুই বছর পড়া বিরতি দিয়ে এসএসসি ও উচ্চমাধ্যমিক, তারপর চুয়েট থেকে কম্পিউটার সাইন্সে ভাল রেজাল্ট।
ভাল চাকরি, ঘরসংসার তারপর অপ্রত্যাশিত বিচ্ছেদ। এর নামই কী সুস্থ্য জীবন? জীবনের অর্থ কী? কেন এতো গঞ্জনা? ভাবতে ভাবতে কুল কিনারা না পেয়ে একসময় নিজের উপরই অভিমান।

কিশোর কুমার ছোটবেলা থেকেই কানে কম শোনেন, কম দৃষ্টশক্তি, নিজের গায়ের বর্ণ ও মুখশ্রী নিয়েও ব্যক্তিগত একটা অপূর্ণতা অতৃপ্তি, সবকিছু মিলিয়ে মনে হলো ওর বেঁচে থাকার কোন মানে নেই!

ফ্ল্যাশ ব্যাকে গেলে অর্থহীন শ্বাসরুদ্ধকর এক অধ্যায়ই সামনে চলে আসে। কিন্তু না। পৃথিবীতে কিশোর কুমার দাসের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় নি। তার প্রমান ১ টাকায় পৃথিবী জয় করা কিশোর কুমার দাস ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। পথশিশু ও ক্ষুধার্ত সববয়সীদের জন্য ১ টাকায় আহারসহ অভিনব বহু কর্মসূচীর সুফল ভোগ করছে দেশের অগণিত সুবিধা বঞ্চিত মানুষ।

আসলে এই আইডিয়াই এনে দেয় বিদ্যানন্দের প্রথম সাফল্য। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)থেকে কম্পিউটার সাইন্সে সাফল্যের সাথে পাস করে চাকরিসূত্রে বর্তমানে দঃক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে কিশোর কুমার। বছরে একবার রমজান মাসে বাংলাদেশে এসে তাঁর প্রিয় ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনে’র অন্য স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে এক হয়ে একমাস কাজকর্মে ডুবে থাকেন।

*করোনা মহামারীতে ইতোমধ্যে বিদ্যানন্দের উদ্যোগে ১১/১২ কোটি টাকার সহায়তা কর্মসূচী বাস্তবায়িত হয়েছে *

বাংলাদেশে কভিড ১৯’ করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে জীবানুনাশক কর্মসূচীর পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের বাসাবাড়িসহ বস্তির দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন বিদ্যানন্দের স্বপ্নবাজ তরূণরা। মাত্র ২১ জন শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিরাতে ১২ হাজার মানুষের খাবার রান্না হচ্ছে। সারাদেশে সবমিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের জন্য খাবার রান্না কার্যক্রম অব্যহত আছে। কেউ সেচ্ছাশ্রমে, কেউবা নামমাত্র পারিশ্রমিক। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এই নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টায় মানুষ অভিভূত।

রমজানে বিনামূল্যে প্রতিদিন ভোররাতে সেহরি ও ইফতারির সময় বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবীরা পৌঁছে দিচ্ছেন এসব খাবার। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার পরিবারের কাছে বিদ্যানন্দ খাদ্য সহায়তা পৌছাতে পেরেছে। তিন লাখ পরিবার পর্যন্ত পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁদের ফাউন্ডেশনের এতোটাই সুনাম যে, ফাউণ্ডেশনের ভণ্ডার কখনো শুন্য হয়না। পরিচয় গোপন রেখেও অনেক দাতা নিয়মিত বিপুল অর্থ ও নানা ধরনের সামগ্রী পাঠিয়ে দেন ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে।

জন্ম নারায়ণগঞ্জে। বাবার সরকারি চাকরিসূত্রে বেড়ে উঠেন চট্টগ্রামের কালুরঘাটে। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে কিশোর কুমার দাস তৃতীয়। জন্ম থেকেই অবহেলা, বঞ্চনা আর দারিদ্র্যের ককিনা ষাঘাতে জর্জড়িত। এক বেলা খাবার জুটতো তো অন্যবেলা জুটতো না। পাশে ছিল না কোনো প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়স্বজন।

জীবনে দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টাঃ
(১ম বার)
পরিবারের আর্থিক অনটনের জেরে স্কুল জীবনে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা। সৌভাগ্যবশত সে যাত্রায় তিনি বেঁচে যান।

(২য় বার)
দ্বিতীয বার প্রাপ্ত বয়সে। ২০১১ সালে স্ত্রী যখন ডিভোর্স দেয় তখন। সে যাত্রায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান।

কয়েক বছর পর কিশোর কুমার আবারো বসেন বিয়ের পিড়িতে। নেতিবাচক সমালোচনা অনেকসময় হতাশার জন্ম দেয়। উদ্দামতা নষ্ট হয়। অতি সম্প্রতি সর্বশেষ আবারো বিদ্যানন্দ নাম নিয়ে কিছু লোকের চুলকানি শুরু হলে কিশোর কুমারের মনোবলে আবার চিড় ধরলে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে ঘোষণা দেন।

অবশ্য, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা কিশোরের অব্যহতির সিদ্ধান্ত পাল্টাতে জোড়ালো ভূমিকা রাখেন। কিশোর কুমারের কথা ‘পদ কোন ম্যাটার করে না। পদ ছাড়লেও বিদ্যানন্দের কাজের সমস্যা হবেনা। চুলকানি বা সমালোচনাটা ছিল ‘বিদ্যানন্দ’ নাম নিয়ে’।

উল্লেখ্য, ‘আনন্দের মাধ্যমে বিদ্যা অর্জন’ স্লোগানের সাথে মিল রেখে বিদ্যানন্দ নামটি রাখ হয়। এই ‘বিদ্যানন্দ’ নামটি দিয়েছেন এক মুসলমান ব্র্যান্ড এক্সপার্ট। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবকদের ৯০% শতাংশই মুসলমান। মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করার মধ্যে যে আনন্দ’ এ উপলব্ধি থেকেই কিশোর কুমারের ১ টাকায় আহার কর্মসূচী।।

এখানেই শেষ নয়,
সর্বশেষ গত এক সপ্তাহ আগে বিদ্যানন্দের উদ্যোক্তা ভাই-বোন কিশোর কুমার দাস ও শিপ্রা দাসকে ‘যাকাত’ দেয়ার কারণে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটি উকিল নোটিশ দেয়ার ঘটনায় আবারো শুরু হয় তোলপাড়!, ‘বিদ্যানন্দকে কেন যাকাতের টাকা দেয়া হয়?’ এ নিয়ে একটি মহলের বিরোধিতা ও উকিল নোটিশের অবতারণা। অবশ্য এ যাত্রায়ও পাল্টা সমালোচনার মুখে বিষয়টি বেশিদূর গড়ায় নি!

উল্লেখ্য, ‘আনন্দের মাধ্যমে বিদ্যা অর্জন’স্লোগানের সাথে মিল রেখে বিদ্যানন্দ নামটি রাখ হয়।আর এই ‘বিদ্যানন্দ’ নামটি দিয়েছেন এক মুসলমান ব্র্যান্ড এক্সপার্ট। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবকদের ৯০% শতাংশই মুসলমান।

“বিদ্যানন্দের মূল স্লোগান হচ্ছে,
পড়বো, খেলবো, শিখবো।

বিজ্ঞাপনটি দেখতে ক্লিক করুন

কিশোর কুমারঃ নিজের কৈশোর জীবনের অভিজ্ঞতার কথা আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, পড়াশোনা কোনো রকমে চালিয়ে গেলেও এসএসসির সময় তা দুই বছরের জন্য পড়া বন্ধ হয়ে যায়। আমি ছাত্র হিসেবে তেমন ভালো ছিলাম না। কারণ আমার চোখে দেখা ও কানে শুনতে কিছুটা সমস্যা ছিল।

এরপর কীভাবে যেন মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা আবার শুরু করি এবং ফলাফলও খুব ভালো করতে থাকি। ব্যাপারটা আমার কাছে মিরাকল। শুধু মিরাকল বলা ঠিক নয়, আমার এক বন্ধু ও শিক্ষকের সাহায্য ও অনুপ্রেরণাও ছিল আমার ঘুরে দাঁড়ানোর বিশাল অবদান। এভাবে হঠাৎ একদিন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাই। ফলাফলও ভাল করি।

কিশোর আরও বলেন, ‘২০১১ সালের দিকে স্ত্রী’র সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়। তখনো আমি বিত্তবান ছিলাম। অর্থ-সম্পদের অভাব ছিল না। বেশ বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে চাকরি করেও দিন শেষে খুব নিঃসঙ্গ বোধ করতাম। তাই মনে হলো- এই জীবনটাই অর্থহীন। তাই আবারও আত্মহত্যা করতে গিয়ে ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় বেঁচে ফিরি। আমার জমানো টাকা দেয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য কাউকে পাচ্ছিলাম না। যে টাকাগুলো জনকল্যাণে কাজে লাগাবে।

জীবনের দুটো অধ্যায় পার করে এসেছি। উপলব্ধি করলাম- কিছু না থাকলেও যেমন নেই, তেমনি অনেক কিছু থেকেও কিছুই থাকে না। ভাবলাম, আমি যেভাবে এক দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছি। ঠিক তেমনি দেশের অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য কিছু করা দরকার। দীর্ঘ কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই বিদ্যানন্দের সূচনা।’

২০১৩ সালে পেরুতে থাকায় কীভাবে আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ভাবলামা আমার একজন বোকা মানুষ দরকার, যে আমাকে বেকুবের মতো ফলো করবে। পেয়েও যাই শিপ্রা দাশকে। তাকেই পুরো দায়িত্বটা দিলাম। শুরু হয় ভাই-বোনের স্বপ্নযাত্রা। বিদ্যানন্দের প্রথম কর্মসূচি ছিল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রদান করা। শিপ্রা দাস ও তার সহকর্মীরা প্রথমে নারায়ণগঞ্জের এক রেলস্টেশনকে বেছে নেয়। শিপ্রা দাস পাঁচজন ছাত্র নিয়ে পথশিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।

প্রথম দিকে প্রায় দেড় বছর বিদ্যানন্দের সব আর্থিক জোগান পেরু থেকে আমিই দিতাম। সব কার্যক্রম পরিচালনা করতো স্বেচ্ছাসেবকরা। পরে পেইড সহ তিন ক্যাটাগড়িতে লোকবল সম্পৃক্ত করা হয়। এখন চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার, রাজবাড়ী, রাজশাহী ও রংপুরেসহ সারাদেশে ১২ টি শাখা।

আমরা মনে করি ১ টাকায় আহার মানে দান নয়, সম্মান।।

এরপর ২০১৬ সালে সুবিধাবঞ্চিত শিশু, প্রতিবন্ধী ও ষাটোর্ধ্ব কর্মহীন মানুষদের ‘এক টাকায় আহার’ নামে একটি প্রকল্প চালু করে সংগঠনটি। বিদ্যানন্দের বিনামূল্যে পাঠাগার, বেদে, হরিজন, বিহারি পল্লিসহ অন্যান্য সুবিধা বঞ্চিতরা বিদ্যান্দের কর্মসূচীর আওতায়। বিদ্যানন্দের আরেকটি অন্যতম ইউনিভার্সিটিতে বৃত্তি কর্মসূচী ।

এক টাকায় আহার প্রকল্পে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার অসহায়ের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। ঠিক একই ভাবে এক টাকায় চিকিৎসা নামে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসকদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে বিদ্যানন্দ।

এছাড়াও বিদ্যানন্দের নিজস্ব গার্মেন্টস ‘বাসন্তী’র মাধ্যমে স্যানিটারি প্যাড বানিয়ে দেশের প্রান্তিক গোষ্ঠীর কাছে বিভিন্ন রেলস্টেশন ও বস্তিতে মাত্র ৫ টাকায় বিক্রি করা হয়। ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্যানিটারি প্যাড, এতিমখানার জন্য টি-শার্ট, স্কুলের পোশাক, চটের ব্যাগসহ যা প্রয়োজন হয় তা বিত্যানন্দের নিজস্ব গার্মেন্টসে তৈরি করা হয়।

নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের দিকে লক্ষ্য রেখে যে সমস্ত নারী কাজ পাচ্ছে না তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে নিজস্ব গার্মেন্টসে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঈদের নতুন পোশাকসহ পবিত্র রমজানে দেশে লক্ষাধিক মানুষকে ডিজিটাল ইফতার ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে ইফতার বিতরণ করেছে সংগঠনটি।

আমরা কারো কাছে টাকা চাইনা। আমাদের একটা পেজ আছে,আমাদের কাজকর্ম দেখে কেউ টাকা দিতে চাইলে একাউন্টে বলি। টাকার জন্য কারো পেছনে দৌড়াই না। কাজ দেখে সহায়তা করবে এটাই আমাদের স্ট্রটেজি। কেউ যদি টাকা দেয় কাজ করবো। না দেয় করবো না। প্রথম দেড় বছর আমার ব্যক্তিগত টাকায় চালিয়েছি। মানুষ দেখেছেন,কিছু করছি।তারপর স্বপ্রণোদিত হয়ে দিচ্ছেন।

আমি নিজেকে কখনো এডভেটাইজ করিনা। আমাদের কোন স্বেচ্ছাসেবী করেন না। স্পোকস ম্যান হিসেবে কথা বলি। মানুষ আসলে তেলের মাথায় তেল দেয়। আমরা কিছু করছি। পারছি বলেই সহায়তা পাচ্ছি। বিদ্যানন্দ টাকা চায়না। তাই দেয়। আমি কিন্তু বলিনা। আমি চেয়ারম্যান। স্বেচ্ছাসেবী।

সাধারণ মানুষের সাহায্য সহযোগিতা প্রসঙ্গে কিশোর কুমার দাস বলেন, বিদ্যানন্দের ৬ টি এতিমখানা, জমি ১০০ বিঘার উপরে। ১০ বিঘা কেনা। বাকী ডোনেট। ভাল একটা স্কুল করবেন,টাকা ও জায়গা নিয়ে বসে আছেন।

যতোক্ষণ সচ্ছতা রাখা যাবে ততক্ষণ টাকার অভাব হয়না। স্ট্রাকচার টা বড় বিষয়। এক্সিকিউটিভ বোর্ড আছে। বোর্ডে ইউনিভার্সিটি শিক্ষক আছে।মাল্টিনেশনাল কোম্পানির সিএফ আছে। মানুষকে ইনস্পাইর করতে হবে। কাজ করে দেখাতে হবে।

প্রথম থেকে আমরা খ্যাতনাম অডিট কোম্পানি দিয়ে করাই। বিদেশ অনেক দেখেছি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভাল। অনেক উদার।

নিউজ২৪.ওয়েব/ডেস্ক/মৌ দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *